bjp
কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে হারার পর বিজেপির সংগঠন যে মুখ থুবড়ে পড়েছে তা মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। ওই নির্বাচনের পর থেকে উপনির্বাচন হোক কিংবা পঞ্চায়েত ভোট, কোনওটাতেই ইতিবাচক কিছু করতে পারেনি বিজেপি। আসলে ভোটের আগে সব রাজনৈতিক দলের মূল কাজ থাকে তৃণমূল স্তরে সংগঠনে জোর দেওয়া। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা, এই কাজটাই ঠিক মতো আর করতে পারছে না পদ্ম শিবির। তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠন মজবুতে অন্য পন্থা নিয়েছে তারা। এবার গেরুয়া শিবিরের ভরসা ‘কল সেন্টার’।
যে কোনও রাজনৈতিক দল কোনও নির্বাচন এলে আগে সংগঠন মজবুত করার কাজে নেমে পড়ে। কর্মী-সমর্থকদের ইতিবাচক বার্তা ভালোই কাজে দেয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ভোটের জন্য এসব পথে আপাতত হাঁটছে না বিজেপি। তারা ‘কল সেন্টার’ খুলে দলীয় নির্দেশ তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দিতে চাইছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে ১৭টি কল সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ জেলা, মণ্ডল থেকে শুরু করে বুথস্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য করা কর্মী নিয়োগও। তারা ন্যূনতম ১৫ হাজার টাকা করে মাসিক বেতন পাবে বলেও জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে কোথায় কোথায় এই কল সেন্টার হবে তা নির্ধারণ হয়েছে বলেও খবর।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একাধিক জায়গায় বাড়ি ভাড়া করছে বিজেপি। এক-একটি কল সেন্টারের অধীনে থাকবে দুই থেকে তিনটি লোকসভা কেন্দ্র। প্রত্যেকটি কল সেন্টারে অন্তত ২৫ জন করে কর্মী নিয়োগ হবে। তারা কাজের জন্য মাসিক বেতন ছাড়াও পাবে ৩৫ হাজার টাকা দামের ল্যাপটপ। এছাড়া সিসিটিভি, নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট সংযোগ সহ অফিস পরিকাঠামোর জন্য কল সেন্টার পিছু খরচ হবে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। এই খাতে সব মিলিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।