ed
কলকাতা: বুধবার দিল্লি থেকে ফিরেই কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেছিলেন, “ইডি আমাকে যে সমন পাঠাচ্ছে বা আমি ইডিকে যা লিখে পাঠাচ্ছি, সেই তথ্য শুভেন্দু অধিকারীর সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করছে৷” এটা কী ভাবে সম্ভব? এই প্রশ্ন তুলে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ অভিষেকের অভিযোগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রশ্নের মুখে পড়ল ইডির বিশ্বাসযোগ্যতা।
বৃহস্পতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির সময় এজলাসে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে এই প্রশ্নটাই তোলেন অভিষেকের আইনজীবী বিষ্ণু সাহা। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ” যে সমন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি পাঠাচ্ছে সেই সমন গোপন থাকছে না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তা টুইট করে প্রকাশ্যে নিয়ে আসছেন। এটা কি ভাবে সম্ভব?”
এমন অভিযোগ শুনে রীতিমতো বিস্মিত বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘এমনটা ঘটে থাকলে তা সত্যই দুর্ভাগ্যজনক। সংস্থার উপর মানুষের আর আস্থা ভরসা থাকবে না৷’’ এরপরেই ইডির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, “তদন্তের নামে হয়রানি করছেন না তো?”
যদিও ইডির দাবি, বারবার তলব করারপরেও অভিষেক তদন্তে সহযোগিতা করছে না। যা শেনার পর বিচারপতি বলেন, “আপনারা বার বার বলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের তদন্তে সহযোগিতা করছে না৷ তিনি প্রয়োজনীয় তথ্যও দিচ্ছেন না। কিন্তু তিনি যদি সমস্ত তথ্য আগেই দিয়ে থাকেন তাহলে তাকে যেতে হবে কেন?’’
জবাবে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃতদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ইডি-র আইনজীবী বলেন, ‘‘এখানে সকলেই প্রভাবশালী। একটু এদিক ওদিক হলেই তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। এখন বহু প্রভাবশালী ইডির নজরে রয়েছে। তাই ৯ অক্টোবর অভিষেকের হাজিরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”