কলকাতা: দশ বছর কেটে যাওয়ার পর যখন কামদুনির ঘটনার রায় বেরলো, তখন নির্যাতিতার পরিবার, তাঁর দুই বন্ধু মৌসুমী কয়াল এবং টুম্পা কয়াল ভেবেছিলেন শান্তি পাবেন। কিন্তু না, আদালতের রায়ে তারা চরম অসন্তুষ্ট। দুই অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা রদ করেছে আদালত এবং যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত তিনজনকে খালাস করা হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধেই এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কামদুনি আন্দোলনকারীরা। প্রস্তুতি নিচ্ছে সিআইডিও।
এই ঘটনায় যে রায় এসেছে তা মেনে নেয়নি রাজ্য সরকারও। সেই প্রেক্ষিতে তারাও প্রস্তুতি শুরু করেছে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার। রাজ্যের হয়ে গোটা বিষয়টি দেখছে সিআইডি। তাই শুক্রবার রাতেই ডিআইজি স্তরের এক অফিসারের অধীনে একটি বিশেষ দল কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম মুখ মৌসুমী কয়ালের বাড়িতে দেখা করতে যান। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার বিষয়টি কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। গোটা ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যের দিকেও আঙুল তুলেছেন খোদ মৌসুমী। তাঁর বক্তব্য, দশ বছর আগে সিআইডি যদি আসত তা হলে অভিযুক্তরা এ ভাবে ছাড়া পেয়ে যেত না। এখন সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা উঠতেই বাড়িতে সিআইডি চলে এল।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার এই ঘটনার রায় দিয়ে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সইফুল আলি এবং আনসার আলির সাজা বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। অন্যদিকে নিম্ন আদালতে আর এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্কর ১০ বছর জেল খাটার কারণে খালাস পেয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট থেকে।