কলকাতা: বছর শেষে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট এবং তার পরেই ২০২৪ লোকসভা ভোটের চূড়ান্ত দামামা বেজে যাবে। সব রাজনৈতিক দলই এখন থেকে কম-বেশি প্রস্তুতি নিতে শুরু করে নিয়েছে। লোকসভা নির্বাচন নিয়ে বিজেপির বিশেষ নজর আছে বাংলার ওপর। আসলে ২০২১ বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন থেকে বাংলার আর কোনও নির্বাচনে ভালো ফল করতে পারেনি তারা। সেই প্রেক্ষিতে আসন্ন লোকসভায় বঙ্গে ভাল ফল করতে বদ্ধপরিকর গেরুয়া বাহিনী। তাই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ধারে-ভারে আরও শক্তিবৃদ্ধি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। শেষ কয়েকটি ছোট-বড় নির্বাচন তার প্রমাণ। এই আবহে বাংলার সাংগঠনিক নেতৃত্বের অন্দরে কিছু বদল এনেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু তাতেও যে খুব বেশি লাভ হয়নি, তার আভাস মিলেছে। বেশিরভাগ জেলায় গোষ্ঠীকোন্দলের ছবি ধরা পড়েছে পদ্মবাহিনীর অন্দরে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্মসমিতির বৈঠক ডাকছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজো মিটলেই এই বৈঠক হবে রাজ্যে নেতাদের নিয়ে। এই বৈঠক থেকেই কোন্দল থামাতে সমস্ত রাজ্যনেতা ও জেলা সভাপতিদের কড়া দাওয়াই দিতে পারে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
কিন্তু এই দ্বন্দ্বের মূল কারণ কী? বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক জেলায় পদাধিকারী বদলের ফলে বর্তমানে গোটা দলের মনোবল ভেঙে পড়েছে। তৃণমূল স্তরে দলের ভিত নড়বড়ে হয়েছে। আসলে পদাধিকারীদের বদল করা নিয়ে বেশকিছু বিধিনিষেধের কথা বলেছিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু বাস্তবে তা মানা হয়নি। নতুন সভাপতিরা নিজেদের মতো করে ‘দল’ গুছিয়ে নিয়েছেন। এই কারণেই পদ খোয়ানো একাধিক কর্মী-নেতারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন, কার্যত বসে গিয়েছেন।