সংক্রমণ শেষ হয়নি, ১১০টি দেশে ফের থাবা করোনার! সতর্কতা হুর

সংক্রমণ শেষ হয়নি, ১১০টি দেশে ফের থাবা করোনার! সতর্কতা হুর

শুধুমাত্র ভারতে নয়, বিশ্বের আরও একাধিক দেশে ধীর গতিতে হলেও বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর আবারও বাড়ছে মৃত্যুর হারও। এদিকে অতিমারি শেষ, এই ধারণা থেকেই কোভিডবিধি সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলছেন বহু মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ নিলেও বুস্টার ডোজে চরম অনীহা অধিকাংশের। এই ভাবধারায় যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে তাতে কার্যত উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর তাই বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে ফের সতর্কতা ঘোষণা করে জানানো হয়েছে, অতিমারির পরিসমাপ্তি এখনও ঘটেনি। বরং ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে ১১০টি দেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসিসের কথায়, ‘অতিমারির রূপে বদল হচ্ছে, কিন্তু এখনও তা শেষ হয়নি। করোনা পরীক্ষা, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের সংখ্যা কমায় আমাদের করোনা সংক্রমণ চিহ্নিতকরণের সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে ওমিক্রন ও অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলিকে চিহ্নিতকরণের কাজ আরও কঠিন হয়ে উঠছে।’ 

হুয়ের কথায়, ওমিক্রনের বিএ.৪ ও বিএ.৫ উপপ্রজাতির কারণেই বিশ্বের ১১০টি দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গোটা বিশ্বে সংক্রমণ ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশ্বিক হিসাবে মৃত্যুহার এখনও তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে থাকা ৬টি অঞ্চলের মধ্যে ৩টিতেই মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ হু প্রধানের বক্তব্য, টিকাকরণে অনীহাও এর জন্য দায়ী। হু জানিয়েছে, করোনার বাড়বাড়ন্তকে নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা চেষ্টা করা হচ্ছে। জিনোম সিকোয়েন্স বোঝার চেষ্টাও হচ্ছে, কিন্তু ওমিক্রন বা অন্যান্য নতুন ভেরিয়্যান্টগুলি নিয়ে বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে এখনও ততটা সাফল্য আমরা লাভ করতে পারেনই গবেষকরা।

এই প্রসঙ্গেই কথা বলতে গিয়ে ‘হু’-র ডিরেক্টর-জেনারেল জানান, তিনি প্রতিটি দেশকে অন্তত পক্ষে ৭০ শতাংশ জনগণকে টিকা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। এ প্রসঙ্গে মাঙ্কিপক্সের কথাও ওঠে। অন্তত পক্ষে ৫০টি দেশে এর উপস্থিতি চোখে পড়েছে, কিন্তু এখনও একে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 − four =