কলকাতা: রাজ্যের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে আউটডোরে ডাক্তার দেখানোর জন্য টিকিট কাটা বাধ্যতামূলক৷ কলকাতার বড় বড় সরকারি হাসপাতালে তো টিকিট কাটতে গেলেই নাভিশ্বাস ওঠে৷ প্রতিটি কাউন্টারেই লম্বা লাইন৷ এই দুর্ভোগের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে রাজ্যজুড়ে চালু হচ্ছে ‘ডিজিটাল হেলথ’ বা ‘ইন্টিগ্রেটেড হেলথ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’। নতুন বছর থেকেই মিলবে এই সুবিধা৷ প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অনলাইনেই কাটা যাবে আউটডোর টিকিট৷ চালু হচ্ছে কিউ আর কোড৷
যদিও স্বাস্থ্যদফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে টিকিট কেটে ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা রাজ্যের সবক’টি মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালেই চালু রয়েছে। অন্যান্য জায়গাগুলিতে এই পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ কিউ আর কোড সিস্টেমে টিকিট কাটার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে পিজি, বাঙুরের মতো হাতে গোনা কয়েকটি হাসপাতালে। নতুন বছরে এই পরিষেবা প্রতিটি হাসপাতালে চালু করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে দিনে গড়ে আট হাজার মানুষ আউটডোরে চিকিৎসা করাতে আলেন। সব মিলিয়ে কয়েক লক্ষ মানুষ প্রতিদিন লাইনে দাঁড়িয়ে হাসপাতালের টিকিট কাটেন। তারপর তাঁরা ডাক্তার দেখান। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে যেমন সময় নষ্ট হয়, তেমনই নষ্ট হয় একটা কাজের দিন৷ রোগীকে প্রতীক্ষায় রাখাটাও বেশ ভোগান্তির৷ এদিকে, আজকের দিনে রাজ্যের অধিকাংশ মানুষই স্মার্ট ফোনে স্বচ্ছন্দ। ফলে অনলাইনে বা কিউ আর কোডের সাহায্যে টিকিট কাটার সুবিধা মিললে মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হবেন। তবে যাঁরা স্মার্ট ফোনে টিকিট কাটতে পারবেন না, তাঁদের জন্য হাসপাতালে পৌঁছে আউটডোর টিকিট কাটার সুবিধাও বজায় থাকবে। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের কথায়, ‘‘ লাইনবিহীন আউটডোর গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য৷’