দু’বছর ধরে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছেন যুবক! অভিযোগ পেয়েই পদক্ষেপ বিডিও-র

দু’বছর ধরে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছেন যুবক! অভিযোগ পেয়েই পদক্ষেপ বিডিও-র

1fb0e2084ec7b43e93e0fb96f77f6565

 কলকাতা: দুই-এক মাসের গল্প নয়৷ গত ২৬ মাস ধরে সরকারি টাকা পাচ্ছে যুবক। তাও আবার লক্ষ্মীর ভান্ডারের৷ এই অভিযোগে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে৷ 

যুবকের বিরুদ্ধে অভিযাগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ব্লক অফিসে ধর্না দিচ্ছেন সেকেন্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা ফরিদা খাতুন৷ কিন্তু তাঁর অভিযোগে কেউ কর্ণপাত করেননি৷ নতুন বিডিও এসেছেন শুনেই  ফের ছুটে যান ফরিদা৷  দিন দুই আগে তাঁর অভিযোগ শোনেন বিডিও৷ অভিযোগ শুনেই নড়েচড়ে বসেন তিনি৷ দুর্নীতির তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফরিদার হাতে টাকাও তুলে দিলেন রঘুনাথগঞ্জ ২-এর বিডিও দেবোত্তম সরকার। এই ঘটনার মধ্যে প্রশাসনিক গাফিলতি রয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন বিডিও।

ব্লক অফিস সূত্রে খবর, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে মাসে মাসে ৫০০ টাকা করে পান রাজ্যের মহিলারা৷ তালিকায় নাম ছিল ফরিদারও৷ মোবাইলে টাকা জমা পড়ার বার্তা পেয়েছেন ফরিদা, কিন্তু প্রকৃত অর্থে সে টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি। বিডিও তদন্তে নেমে জানতে পারেন, যে অ্যাকাউন্টে প্রতিমাসে ফরিদার টাকা জমা পড়ছে, সেটি আদৌ তাঁর অ্যাকাউন্টই নয়। ওই অ্যাকাউন্টটি আসলে সম্মতিনগরের হুদরাপুরের বাসিন্দা সাদের শেখ নামে এক যুবকের৷ ফরিদার অভিযোগের ভিত্তিতেই সাদেরকে ডেকে পাঠান বিডিও। জিজ্ঞাসাবাদে সব কথা স্বীকার করে নেন ওই যুবক।

বিডিও বলেন, “মহিলার অভিযোগ পেয়েই দফতরের এক আধিকারিক চন্দন চৌবেকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যায় হুদরাপুরের যুবক সাদের শেখের অ্যাকাউন্টে ২৬ মাস ধরে ফরিদা খাতুনের প্রাপ্য টাকা ঢুকছে। ওই যুবক জানান, তাঁর এক বন্ধু রাহুল শেখ তিন হাজার টাকার বিনিময়ে ফরিদা খাতুনের নামে তাঁর অ্যাকাউন্ট তৈরি করে দেয়। ব্যাঙ্ক তা খতিয়ে দেখেনি।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *