অনলাইনে সস্তায় পণ্য কেনার দিন শেষ, কড়া আইন আনছে কেন্দ্র

নয়াদিল্লি: জলের দামে অনলাইনে কেনাকাটার দিন শেষ হতে চলেছে। কারণ অনলাইন সংস্থাগুলির ছাড় দেওয়ার সীমায় লাগাম টানতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ছোট খুচরো ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে ই-কমার্স বিধিতে এই ছাড়ের সীমা নির্ধারণের অধিকার নিজের হাতে নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ক্রেতার সংখ্যা এবং বিক্রি বাড়াতে

3 stocks recomended

অনলাইনে সস্তায় পণ্য কেনার দিন শেষ, কড়া আইন আনছে কেন্দ্র

নয়াদিল্লি: জলের দামে অনলাইনে কেনাকাটার দিন শেষ হতে চলেছে। কারণ অনলাইন সংস্থাগুলির ছাড় দেওয়ার সীমায় লাগাম টানতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ছোট খুচরো ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে ই-কমার্স বিধিতে এই ছাড়ের সীমা নির্ধারণের অধিকার নিজের হাতে নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ক্রেতার সংখ্যা এবং বিক্রি বাড়াতে মোটা অঙ্কের ছাড় দেওয়া রপ্ত করেছে ই-কমার্স সংস্থাগুলি। এর খেসারত দিতে হয় ছোট খুচরো বিক্রেতাদের।

বছরকয়েক ধরে ভারতে চড়চড়িয়ে বাড়ছে ই-কমার্স। নিত্যপ্রয়োজনীয় থেকে আসবাবপত্র- অনলাইনে ছাড়ের অপেক্ষায় বসে থাকেন অনেকেই। অনলাইনে মেগাছাড়ে জিনিসপত্র কিনতে অভ্যস্ত হচ্ছে জনতা। ফলে মার খাচ্ছে ছোট ব্যবসায়ীরা। এই নিয়ে কেন্দ্রের কাছে লাগাতার নালিশ জানিয়ে আসছিলেন তাঁরা। অবশেষে পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ই-কমার্স নীতি খতিয়ে দেখবেন বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। তাতে অনলাইন সংস্থাগুলি কখন কত ছাড় দিতে পারবে তা নির্ধারণ করা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেলের নামে নিজেদের বিক্রি বাড়িয়ে মুনাফা ঘরে তোলে বড় অনলাইন বিপণিগুলি। সংসদে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সুরেশ প্রভু বলেন, ‘অনলাইন বিপণন সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ করা হচ্ছে এবং বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন। তবে, এর জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক করা হয়নি।’ ভারতের ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে তাদের ব্যবসার ব্যপ্তি এবং খুচরো বিক্রির বাজারে নিজেদের মজবুত উপস্থিতি অন্যায় ভাবে কাজে না লাগাতে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রভু। খুচরো বিক্রেতাদের প্রতিযোগিতায় মাত দেওয়ার জন্য অনৈতিক উপায় অবলম্বন করা থেকেও নিরস্ত থাকতে বলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করবে এমন বিষয় নিয়ন্ত্রণ করার রূপরেখা কম্পিটিশন আইনে উল্লেখ করা রয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × three =