কলকাতা: পুজোয় কলকাতার চেনা চেহারাটা খুঁজে পাওয়া মুশকিল৷ কর্মব্যস্ততার মাঝেই উৎসবের মেজাজ৷ ব্যাপক ভিড়ে চূড়ান্ত যানজট৷ বিকেল তখন ৩টে৷ নিউ আলিপুর থেকে টালিগঞ্জ ফাঁড়ি যাওয়ার শেষ অটো ছাড়বে ছাড়বে করছে৷ স্ট্যান্ডে তখন আর কোনও অটো নেই৷ অটোয় খালি রয়েছে একটা সিট৷ এদিকে, যাত্রী সংখ্যা তিন। রোজকার নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে যিনি আছেন, তাঁরই ওঠার কথা অটোতে। কিন্তু চতুর্থীর বিকেলে তেমনটা ঘটল না৷ হঠাৎ ওই একটি সিটের জন্য নিলাম হাঁকলেন অটো চালক। তিনি বললেন, কে কত ভাড়া দেবেন বলুন? এক ব্যক্তি ৫ টাকা বাড়িয়ে বললেন ১৫, তার পিছনের ব্যক্তি বললেন ২০, তারও পিছনে থাকা ব্যক্তি হাঁকলেন ২৫ টাকার দর। ব্যস৷ অটো চালক সর্বোচ্চ দর হাঁকা ব্যক্তিকেই ‘নিলাম জয়ী’ বলে ঘোষণা করলেন৷ চোখের ইশারায় ডেকে নিয়ে বসতে বললেন তাঁকে।
৩টে তো বেজে গেল। এবার কী আর অটো চলবে না? না তারপরেও অটো চলল, তবে মেন রোড দিয়ে নয়, গলি পথে৷ দেশপ্রিয় পার্কের পিছনের গলিতে উঁকি দিয়ে দেখা মিলল এক অটো চালকের। তিনি হাঁক দিয়ে যাত্রী ডাকছেন, কালীঘাট মেট্রো-রাসবিহারী ২০ টাকা। কিন্তু যাবেন কোথা দিয়ে? জানালেন, এখন আর বড় রাস্তায় ওঠা যাবে না৷ অলিগলি দিয়ে যাবে। বড় রাস্তায় উঠলেই ৫ হাজার টাকা ফাইন নেবে পুলিশ। প্রতি বছরই নেয়৷ হাজরা রোডের উপর শিশুমঙ্গল হাসপাতালের সামনেও একই চিত্র৷ সেখানে আবার যেতে গেলেই করতে হবে অটো রিজার্ভ৷ পুজোর দিনে কলকাতা জুড়ে এমন দাপট অটোওয়ালাদের৷