শাম্মী হুদা: ফুচকা,এটুকু শুনলেই জিভে জল চলে আসে। চাট মশলা, ছোলা সিদ্ধ ও আলুর মিশেলে সে এক অনন্য স্বাদ।এরপর তারমধ্যে গন্ধরাজ লেবুর রসের কয়েক ফোটা পড়লে তো কথাই নেই। ফুলো ফুলো পাপড়ির মধ্যে এই আলুমাখা, তারপর তেঁতুল গোলা জলে ডুবিয়ে শালপাতায় হাজির।এবার সেখান থেকে জিভের সঙ্গতে স্বর্গীয় অনুভুতি। আহা এ স্বাদের ভাগ হবে না।রোল চাউমিন পকোড়া কাবাব যাই খাও না কেন ফুচকা কিন্তু একমেবদ্বিতীয়ম। যাবতীয় ফাস্টফুডের আইটেম ছেড়ে ফুচকাওয়ালার দিকেই চোখ পড়ে থাকবে। সুর যেমন রাগ বিশিষ্ট তেমনই ফুচকাও রাগের বাহুল্যে অনবদ্য হয়ে ওঠে।মশলার প্রকারভেদ ও পরিমাণেই নির্ভর করে ফুচকার স্বাদ।তাই রাজভোগ ফেলে ফুচকার দিকে ছুটে যায় সকলে।
প্রসঙ্গত,ভারতীয় চটপটা খাবার হিসেবে এই ফুচকার একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। এর সর্বজন গ্রাহ্যতা দেখলে অবাক হতেই হয়। সুটেডবুটেড ইয়ং চ্যাপ থেকে শুরু করে নার্সারি পেরনো খুদে ফুচকাওয়ালার ঠেলার সামনে সবাই সারিবদ্ধ ভাবে শালপাতা হাতে দাঁড়িয়ে। কেউ বলছে আর একটু ঝাল দিলে ভাল হয়,কেউ বা দূর মশাই টকটাই তো হয়নি। এমা! মশলা কি কম। সন্ধ্যাবেলা বাজারে বেরিয়ে একবার ফুচকার স্টলের কাছে যান এমনটা শুনতে পাবেনই। আর এমন বাজার এখন খুঁজেই পাবেন না যেখানে ফুচকাওয়ালা নেই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বলাবাহুল্য, এই ছবি শুধু কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গে নয়, গোটা ভারতবর্ষেই বর্তমান। স্থান কাল ভেদে স্বাদের একটু অদল বদল হলেও তাতে কিছু যায় আসে না।হায়দরাবাদ,মহারাষ্ট্রে যেমন ফুচকাতে আলুর বদলে ঘুগনি দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে তেঁতুল নয়, থাকে পুদিনা পাতার টক। কোথাও সে পানিপুরি নামে খ্যাত, কোথাও বা গোলগাপ্পা। যাই বলা হোক না কেন এ গোলক স্বাদে একেবারে অতুলনীয়। যে স্ন্যাক্সের চাহিদা এমন তুঙ্গে তার ব্যবসা করলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল, অন্তত হিসেব তাই বলছে। কোনও বিক্রেতার ফুচকা একবার জনপ্রিয়তা পেয়ে গেলে তাঁর বৃহস্পতি তো সদা হাস্যময় বলতে হয়। শুধু দৈনন্দিন বিক্রিবাট্টাই নয়, ফুচকাওয়ালাকে পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিয়ে বাড়িতেও ফুচকার স্টল দারুণ জনপ্রিয়। এবার আসি প্রকারভেদে, ফুচকা শুধু জলের সঙ্গেই হয় এমন না,চাইল দই ফুচকা ম্যাগি ফুচকা,চিকেন ফুচকা, মটন ফুচকা, চিজ ফুচকা, চাটনি ফুচকা যেমন চাইবেন তেমন খেতে পারেন। আর পাপড়ি চাটকে নিয়ে আলাদাভাবে কিছু নাই বা বললাম। কলকাতায় চাট ও ফুচকার বাজার দারুণ ভাল। দক্ষিণ ভারতে বেঙ্গালুরুর হাইটেক সিটির চাটওয়ালারাও বেশ দক্ষ।
var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);
সেখানে দই চাট,পাপড়ি চাট, সেও চাট, বেনারসী চাট-সহ নানারকম আয়োজন রয়েছে।পাপড়ির সঙ্গে আলু মাখা, ভুজিয়া চানাচুর, টমেটো সস, দই, সঙ্গে চাটমশলা জাস্ট জমে ক্ষীর। সিঙ্গাড়াকেও চাটের মতো মেখে পরিবেশন করেন এঁরা। ঘুগনির সঙ্গে চুরমুরের মতো চাট বিক্রি হয়। একবার মুখে দিলেই জিভ ও ঠোঁটের সঙ্গতে যেন সুর লয়ের ছন্দ রচনা শুরু হয়ে যায়। আইটি প্রফেশনাল থেকে শুরু করে সিরিয়াস পড়ুয়া বা গম্ভীর মাস্টারমশাই বাড়ি ফেরার পথে ইন্দিরা নগরের ফুচকার স্টলে যান না এমন খাদ্যরসিক খুঁজে পাওয়া ভার। এইসব চাট বিক্রেতাদের রোজগার পাতি বেশি হয় উইকএন্ডে। শনি রবিবার ভিড় উপচে পড়ে,খরিদ্দারকে দিয়ে উঠতে পারেন না অনেকেই। সবমিলিয়ে ভালোই চলে যায়,লাভও নেহাত মন্দ হয় না। এই চাট বিক্রি করার জন্য ঝাঁসী থেকে বেঙ্গালুরুতে এসে রয়েছেন উরসুল সিং। তাঁকে সারা দিনে হাজার দুয়েক টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। মাসের শেষে সংসার হাতখরচ ও ব্যবসার টাকা রেখেও হাজার দশেক লাভ করেন তিনি। যেহেতু এই ব্যস্ত শহরে দোকান চালানোর লাইসেন্স নেই, তাই প্রতিদিন পুরসভাকে ২০০ ও পুলিশকে ১০০ টাকা করে দিতে হয়। এছাড়া, ১৫০০ টাকা দিয়ে ছোট গ্যাস সিলিন্ডার নিয়েছেন,তাতে দশদিন চলে যায়। আলু, লঙ্কা, টমেটো, শসা, চানাটুর, ভুজিয়া, সস,তেঁতুল, চিনি নুন, হলুদ, মটর, বেসন, কিনতে হচ্ছে। তার একটা খরচ আছে। পাশাপাশি প্রতিদিন তিন জার জল লাগছে। তবে যত যাই লাগুক না কেন আয় উন্নতিতে অসুবিধা হয় না।