নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রের মোদি আমলে দেশে বিনিয়োগ বাড়ার তথ্যকে ভুল প্রমানিত করল ‘দি সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান ইকোনমি’ দেওয়া তথ্য। ওই অনুযায়ী ২০১৮-এর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের বিনিয়োগ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিগত ১৪ বছরে সব থেকে কম বিনিয়োগ হয়েছে ২০১৮ সালের ওই সময়ে। টানা তিন বছর ধরে সমীক্ষা করার পর বৃহষ্পতিবার এই তথ্য প্রকাশ করে দ্যা সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান ইকোনমি।
বছরের প্রথম দিকে জানুয়ারী ২০১৮ থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে বিনিয়োগ হয়েছে ৪ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু শেষের দিকে তা ভয়ানক ভাবে কমে যায়। ২০১৮-র প্রথম ভাগের তুলনায় ২০১৮ সালে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ৬২ শতাংশ এবং সরকারি খাতে বিনিয়োগ কমেছে ৩৭ শতাংশ। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে বিনিয়োগ হয়েছে মাত্র ৫০,৬০৪ কোটি টাকা। ২০০৪ সালের পর এই প্রথম সরকারি খাতে এত কম টাকা খরচ হয়েছে। দি সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান ইকোনমির ম্যনেজিং ডিরেক্টর এই প্রসঙ্গে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে ভারতে হঠাৎ করে বিনিয়োগে হ্রাস পায়নি।
বিগত সাড়ে তিন বছর ধরে ক্রমশ নিচের দিকে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতির অভিমুখ, তবে ২০১৮-এর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে সেটা প্রকোট হয়। এর জন্য দায়ী সরকারের একাধিক নিতি যার ফলে বাজারে নতুন প্রকল্প আসছে না, সেই সঙ্গে পুরনো প্রকল্পগুলি মাঝপথে আটকে এবং বহু প্রকল্প অনুমোদন পেলেও এখনও কাজ শুরু করে উঠতে পারেনি। যার ফলে বৈদেশিক ক্ষেত্রে ভারতের ঋণ বাড়বে এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও এর যথেষ্ট প্রভাব পড়বে।