তিয়াষা গুপ্ত: কৃষক আত্মহত্যা, কৃষি বিক্ষোভ- দেশে ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। এই নিয়ে নাজেহাল মোদী সরকার। এর প্রভাব পড়েছে ৫ রাজ্যের নির্বাচনেও। ফলাফল প্রকাশের পর বিভিন্ন রাজ্যে কৃষি ঋণ মুকুবের হিড়িক পড়ে গেছে। এতে আগামী দিনে সমস্যার সমাধান হবে না বলে মনে করছেন কৃষি বিজ্ঞানী ও যোধপুরের সেন্ট্রাল এরিড জোন রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর অধিকর্তা ওপি যাদব।
তিনি মনে করেন, ঋণ মুকুবের যে হিড়িক শুরু হয়েছে, তাতে কৃষক আত্মহত্যার প্রবণতা কমবে না। দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের কথা বিবেচনা করে এটা কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নয়। তাঁর কথায়, এই পদক্ষেপের ফলে কৃষকের আয় ২০২২ সালের মধ্য়ে দ্বিগুণ হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যদিও সেই আশার বাণী শুনিয়ে রেখেছে মোদী সরকার। এদিন যাদব আরো বলেন, গত ৬৮ বছরে ফসলের উৎপাদন পাঁচ গুণ বেড়েছে। কিন্তু কৃষকরা ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। একইসঙ্গে তিনি আরো বলেন, কঠোর পরিশ্রম ও উন্নত প্রযুক্তি হাতিয়ার করে কৃষকরা ভালো ফসল ফলাচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের ফসলের উপযুক্ত বাজার নেই। কারণ ভারতে খাবারের দাম কম। এটাই রেওয়াজ। এই কারণে কৃষকরা তাঁদের ফসলের উপযুক্ত দাম পান না। এই কৃষি বিজ্ঞানীর পরামর্শ, ঋণ মুকুব না করে সেই টাকায় পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হোক। কৃষকরা যাতে ন্যায্য দাম পান এবং তাঁদের উৎপাদিত ফসল যাতে ঠিকমতো বাজারে পৌঁছাতে পারে, তার ব্যবস্থা করুক সরকার। মোদীকে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে দেব না, কষি ঋণ মুকুব না হলে। ৩ রাজ্যে সরকার গড়ার পর এভাবেই বোমাঘাত করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কৃষি বিক্ষোভ নিয়ে বারেবারে নাজেহাল হয়েছেন মোদী। তাই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে কৃষি নিয়ে ৩ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক হয়। ফার্ম রিলিফ প্ল্যান-অর্থাৎ কৃষি ছাড় পরিকল্পনা নিয়ে অর্থমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন মোদী-শাহ। ৬ জানুয়ারি শীতকালীন অধিবেশন শেষের আগেই কৃষি নিয়ে বড় ঘোষণা করবে সরকার।