নয়াদিল্লি: সাধারণ শ্রেণির নাগরিকদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, কার্যত দেশের সব নাগরিকই কোনও না কোনও ভাবে সংরক্ষণের আওতায় চলে আসছেন৷ কীভাবে, দেখে নেওয়া যাক৷
নয়া বিল অনুযায়ী, যে পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকার কম, তাদের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ার আওতায় ধরা হবে৷ রিপোর্ট বলছে, ৯৫ শতাংশ ভারতীয় পরিবারেরই বার্ষিক আয় ৮ লক্ষের কম৷ বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকার অর্থ, ৫ জনের পরিবারে মাথাপিছু৷ মাসিক আয় ১৩,০০০ টাকার কিছু বেশি৷
এনএসএসও-র ২০১১-১২ সমীক্ষামতে মাথাপিছু মাসিক আয়, গ্রামে ২,৬২৫ ও শহরে ৬,১০৫ টাকা৷ দু’টিই ১৩,০০০ টাকার স্ল্যাবের অনেক কম৷
২০১৬-১৭-এর তথ্য বলছে, ২ কোটি ৩০ লক্ষ ভারতীয় বার্ষিক ৪ লক্ষের উপর আয় ঘোষণা করেছেন। ধরা যাক, প্রতি পরিবারের বার্ষিক ৪ লক্ষ টাকা উপার্জনকারী সদস্য ২ জন৷ এক্ষেত্রে এমন পরিবারের সংখ্যা ১ কোটি৷ এবং যত ভারতীয় এই সংরক্ষণের বাইরে থাকবেন ৮ শতাংশ৷
সোমবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য বলছে, দেশবাসীর বার্ষিক মাথাপিছু আয় ১.২৫ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ ৫ জনের পরিবারের ৬.২৫ লক্ষ টাকা, যা ৮ লক্ষের অনেক কম৷
নয়া বিল অনুযায়ী, ৫ একরের কম কৃষিজমি থাকলে দরিদ্র বলে গণ্য হবে৷ ২০১৫-১৬-এর কৃষি সমীক্ষা বলছে, ভারতে ৮৬.২% মালিকানাধীন কৃষিজমি ২ হেক্টরেরও কম!
বিলের তৃতীয় শর্ত, ১০০০ বর্গফুটের থেকে ছোট বাড়ি থাকলে দরিদ্র বলে গণ্য হবে। ২০১২-এর এনএসএসও রিপোর্ট বলছে, ২০% ধনীর বাড়িরও গড় ফ্লোর এরিয়া ৫০০ বর্গফুট! ফলে, ৮০% বা ৯০% বাড়িই সংরক্ষণের মধ্যে৷