নয়াদিল্লি: ক্ষোভের পাহাড় সামলাতে কৃষির জন্য বিশেষ প্রকল্প ঘোষণা হতে পারে কেন্দ্রীয় বাজেটে। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী মহলের মন টানতে পণ্য ও পরিষেবা করে ছাড়ের ঘোষণাও হতে পারে। ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করে মধ্যবিত্তের জন্য করযোগ্য আয়স্তর খানিক বাড়াতেও পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
বিজেপি এবং তার সহযোগী দলগুলি ক্ষোভের আঁচ টের পাচ্ছে। পরপর উপনির্বাচনে হার হয়েছে। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের ভোটে কোনওটিতেই সরকার গড়তে পারেনি বিজেপি। উলটে, টানা পনেরো বছর সরকার চালানোর পর হেরেছে মধ্য প্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে। হার হয়েছে রাজস্থানেও। লোকসভা ভোট হতে পারে এপ্রিল-মে জুড়ে। মার্চে নির্বাচনের ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। সেই ঘোষণা হয়ে গেলে জারি হয়ে যাবে নির্বাচন বিধি। নতুন কোনও প্রকল্পের ঘোষণা করা যাবে না। বিজেপি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানাচ্ছে, এই অবস্থায় ফেব্রুয়ারির গোড়ায় বাজেটেই মুখ বাঁচানোর কৌশল নিতে চাইছে দল। আর্থিক ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা পিছলে গেলেও সেই বিষয়টি আপাতত গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি।
এই অনুমান উড়িয়ে দেননি বিজেপি নেতা গোপালকৃষ্ণ আগরওয়াল। দলের অর্থনীতি বিষয়ক শাখার মুখপাত্র পরিচয়ে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, এখন প্রসারণমুখী অর্থনৈতিক নীতিতেই গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। কৃষকের সমস্যা নিরসনে নীতি ঘোষণা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে এখন আটকে না থাকলেও চলবে। কৃষকের প্রকল্প বলতে কী বোঝানো হচ্ছে এখনও তা স্পষ্ট করেননি বিজেপি র কোনও স্তরের নেতারাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যেও স্পষ্ট আভাস মিলছে না। একাধিক রাজ্যে বিরোধীদের সরকার কৃষিঋণ মকুবের ঘোষণা করেছে। এমন সিদ্ধান্তকে মোদী ললিপপ বলে ব্যঙ্গও করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ঋণ মকুবে কৃষকের আসলে সুবিধা হয়নি। আবার, কিছু আগে, উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি নিজে রাজ্যে কৃষিঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন শোচনীয় হওয়ায় অবশ্য রাজ্যের বিজেপি সরকার সমালোচনার মুখে পড়েছে।