#Budget2019: মুকেশ অম্বানীর একার আয় কেন্দ্র-রাজ্যের স্বাস্থ্য বাজেটে সমান: রিপোর্ট

নয়াদিল্লি: নোটবন্দি, জিএসটি কিংবা আর্থনীতিতে কড়া কড়ি করেও কিছুই হল না দেশের৷ প্রকাশিত অক্সফ্যামের রিপোর্ট অন্তত তাই বলছ৷ গত বছর বছরের নিরিখে দেশের সাধারণ মানুষ আরও পিছিয়ে পড়েছে বলেই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে৷ ধনীদের হাতেই চলে গিয়েছে দেশের চার ভাগের তিন ভাগ সম্পত্তি৷ জাতীয় সম্পদ নিরিখে ভারতীয় শিল্পপতীদের দখলে চলে গিয়েছে৷ দেশের ন’জন কোটির সম্পদ

imagesmissing

#Budget2019: মুকেশ অম্বানীর একার আয় কেন্দ্র-রাজ্যের স্বাস্থ্য বাজেটে সমান: রিপোর্ট

নয়াদিল্লি: নোটবন্দি, জিএসটি কিংবা আর্থনীতিতে কড়া কড়ি করেও কিছুই হল না দেশের৷ প্রকাশিত অক্সফ্যামের রিপোর্ট অন্তত তাই বলছ৷ গত বছর বছরের নিরিখে দেশের সাধারণ মানুষ আরও পিছিয়ে পড়েছে বলেই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে৷ ধনীদের হাতেই চলে গিয়েছে দেশের চার ভাগের তিন ভাগ সম্পত্তি৷ জাতীয় সম্পদ নিরিখে ভারতীয় শিল্পপতীদের দখলে চলে গিয়েছে৷ দেশের ন’জন কোটির সম্পদ দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের সমনা বলে চাঞ্চল্যক তথ্য উঠে এসেছে৷ নয়া সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দেশের এক শতাংশ ধনীর এক দিনের আয় ২২০০ কোটি টাকা৷ সেই হিসেবে মুকেশ অম্বানীর একার আয় কেন্দ্র-রাজ্য মিলিয়ে চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, জল, নিকাশি খাতে বরাদ্দের সমান৷

সমীক্ষায় দেখা দিয়েছে, মোদির আমলে গত একবছরে কোটিপোতিদের নামের তালিকায় যোগ হয়েছে ১৭টি নাম৷ দেশের কোটিপোতিদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৪,৮৯১ বিলিয়ন৷ ১৫,৭৭৮ বিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ২০,৬৭৬ বিলিয়ন (ভারতীয় টাকা৷ ২০০০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত অতিধনী বা বিলিওনারের সংখ্যা ৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ১০১৷ এই ১০১ জনের মধ্যে ৫৫ জনের বয়স ৬৫ বছরের উর্দ্ধে। তাদের মোট সম্পদ ১০,৫৪৪ বিলিয়ন৷ বস্ত্র শিল্পে গড়ে ২ জন শ্রমিকের মধ্যে একজন নূন্যতম বেতনের চেয়েও কম মজুরি পান৷ ইন্ডিয়ান বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ধনী কর্মকর্তাদের একবছরের সমান আয় করতে একজন শ্রমিকের লাগবে ৯৪১ বছর৷ একজন নূন্যতম মজুরি পাওয়া শ্রমিক এক বছরে যা আয় করেন, সেই পরিমাণ আয় করতে বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ধনী কর্মকর্তাদের মাত্র ১৭.৫ দিন সময় লাগে৷

ভারতের ১০ শতাংশ অতিধনীর হাতে দেশের ৭৭ শতাংশ সম্পদ৷ ৬০ শতাংশ জনসংখ্যার হাতে রয়েছে মাত্র ৪.৮ শতাংশ জাতীয় সম্পদ৷ আবার দেশের মাত্র ৯ জন ধনীর সম্পত্তির পরিমাণই দেশের ৫০ শতাংশ জনসংখ্যার মোট সম্পদের সমান৷ অতি ধনীদের গত বছররে আয় হয়েছে প্রায় ৭৩ শতাংশ৷ অথচ ৬৭ কোটি গরীবের মোট সম্পদ বেড়েছে মাত্র ১ শতাংশ৷ গত এক বছরে টোটাল এলিট শ্রেণির মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ২০,৯১৩ বিলিয়ন৷ যা প্রায় ২০১৭-১৮ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটের সমান৷ অতি ধনীদের প্রায় ৩৭ শতাংশই উত্তারাধিকার সূত্রে ধনী৷ দেশের মোট সম্পদের ৫১ শতাংশই তাদের হাতে৷ মাত্র ৪ জন মহিলা বিলিওনার রয়েছেন ভারতে৷ তাদের মধ্যে তিন জনই উত্তারাধিকার সূত্রেই ধনী৷ এই হিসেবে চললে ২০১৮-২০২২ সালে ভারতে আরও ৭০ জন বিলিওনারের নাম যোগ হবে অতি ধনী তালিকায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *