বৃষ্টির পরই শীতের শুরু? বড় ফ্যাক্টর ‘এল নিনো’

বৃষ্টির পরই শীতের শুরু? বড় ফ্যাক্টর ‘এল নিনো’

কলকাতা: শীতের শুরু হওয়ার আগে কিছুটা যেন অস্বস্তি। কারণ তাপমাত্রা বাড়ার একটা সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস, আবার জেলায় জেলায় আংশিক বৃষ্টির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি ঠান্ডা-গরম। আবহবিদরা জানিয়েছেন, দিন ও রাতের তাপমাত্রা আগামী কয়েক দিনে কিছুটা বাড়বে। এদিকে আবার বৃহস্পতি ও শুক্রবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়৷ তারপরই কি শীত? 

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পূবালী হাওয়ার প্রভাব থাকায় আগামী কয়েকদিন উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। এই সময়ে রাজ্যের অন্তত ছয় জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টির পর তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতি মূলত দক্ষিণবঙ্গের জন্য। কারণ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের না হলেও শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়তে থাকবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও শুক্রবারের মধ্যে খুব হালকা বৃষ্টি হতে পারে পার্বত্য এলাকায়। এক কথায় বলা যায়, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পুরোদমে শীতের আমেজ না চলে এলেও মালুম পাওয়া যাবে তার অস্তিত্ব। 

তবে এখানেও আছে ‘টুইস্ট’। কারণ হাওয়া অফিসই আগে একবার ‘উষ্ণ’ শীতকালের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল। সেটির মূল কারণ ‘এল নিনো’। তাহলে কি শীতের শিরশিরানি কম হবে চলতি বছর? মৌসম ভবনের ব্যাখ্যা ছিল, নভেম্বর মাসে দেশের বেশিরভাগ অংশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে। আর উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য ভারত ছাড়া দেশের বাকি অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে। এর কারণ সেই ‘এল নিনো’। এর প্রভাব থেকে বাদ যাবে না বাংলাও। তাই আগামী কয়েক দিন এ রাজ্যেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরেই থাকবে।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২ থেকে ৪ তারিখ পর্যন্ত কলকাতা সহ একাধিক জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির আশেপাশেই থাকবে। এই সপ্তাহে আগামী ক’দিন কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তাই শীত শীত ভাব পরিলক্ষিত হবে না তেমন। তবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই পুরোপুরি ঠান্ডার আমেজ তৈরি হয়ে যাবে। যদিও ‘এল নিনো’ একটা বড় ফ্যাক্টর। তার প্রভাব কতদিন স্থায়ী হয় তার ওপর চলতি বছর অনেকটাই নির্ভর করবে শীতের ইনিংস।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *