নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মার্চেই ঘোষণা হতে পারে ভোটের নির্ঘণ্ট৷ ফলে, ভোটের মুখে শেষ বাজেট পেশ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার৷ ফলে, শেষ বাজেট ঘিরে তৈরি হয়েছে নানান আশা-আশঙ্ক৷ এবারের শেষ বাজেটে কী চমক দিতে পারেন নরেন্দ্র মোদির সরকার? কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণে শেষ চেষ্টায় কী থাকছে চমক? চাঞ্চল্যকর সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনল স্টেট অফ ট্যালেন্ট অ্যাকুইজিশন৷
সমীক্ষা অনুযায়ী দেশের সংস্থাগুলি এবছর ২০১৮ সালের তুলনায় রিক্রুটমেন্ট বাজেট ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি করবে৷ এই সমীক্ষাটি ৯০০টি ডিসিশন-মেকারদের সঙ্গে কথা বলে তৈরি করেছে ট্যালেন্ট অ্যাসেসমেন্ট প্ল্যাটফর্ম মার্সার-মেট্টি সংস্থা। মার্সার-মেট্টি সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যত বেশি সেরা প্রতিভাকে আকর্ষণ করার প্রতিযোগিতা কঠিন এবং তীব্র হয়ে উঠছে৷ তত বেশি কর্মী বাছাই এবং নিয়োগের প্রতিযোগিতায় সাফল্য লাভ করার ব্যাপারে টেকনোলজির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ মেধা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য বিজনেস লিডারদের ট্যালেন্ট অ্যাকুইজিশন ট্রেন্ড এবং টেকনোলজি ব্যবহারে একেবারে শীর্ষে থাকতে হবে বলেও মত সংস্থার৷
দেশের শতকরা ৭৬ শতাংশ ডিসিশন মেকার জানিয়েছেন ২০১৯ সালে প্রতিটি সংস্থার কাছেই ট্যালেন্ট অ্যাকুইজিশন একটি চ্যালেঞ্জে পর্যবসিত হবে। গত বছরের থেকে অবশ্য পরিস্থিতি কিছুটা ভাল, কারণ গত বছর ৮৬ শতাংশ এমনটাই জানানো হয়েছিল৷ ৭ শতাংশ ডিসিশন মেকার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বৃহৎ সংস্থার পক্ষে সহায়ক। তাঁদের মতে ট্যালেন্ট অ্যাকুইজিশনের ক্ষেত্রে তাঁদের এমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না।
যদিও এই চ্যালেঞ্জ এখনও রয়ে গিয়েছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে৷ বিএফএসআই, অর্থাৎ ব্যাঙ্কিং-ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেস-ইনসিওরেন্স ক্ষেত্রে ট্যালেন্ট অ্যাকুইজিশন বা প্রতিভা খুঁজে পেয়ে নিয়োগ করার পদ্ধতিতে এই বছরেও চ্যালেঞ্জ থাকবে৷ বিশেষ করে নতুন ভূমিকায় দক্ষ কর্মী সংগ্রহ করার চ্যালেঞ্জ। হেল্থ কেয়ার এবং ফার্মাসিউটিক্যালস, ম্যানুফ্যাকচারিং, রিটেইল এবং কনজিউমার ডিউরেবলস এবং টেকনোলজি, ইন্টারনেট এবং ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি সেক্টরে যে সব সংস্থা রয়েছে, সেখানে চাকরির ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী ও কম যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীর অনুপাত কর্মস্থলে যোগ দেওয়া প্রার্থীর অনুপাতে এতটাই কম যে এটাই এই সেক্টরের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷