hc
কলকাতা: রাজ্যে বাজির শব্দমাত্রা বাড়ানো হয়েছে অনেকটা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় সব মহলে। এমনকি কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছিল। কিন্তু আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করল না। হাইকোর্ট জানিয়েছে, বিচারপতি সব্যসাচী ভাট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আদালত এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নয়। তবে জনস্বাস্থ্য ও পশুদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে শব্দমাত্রার বিষয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে।
এ রাজ্যে সর্বোচ্চ ৯০ ডেসিবেলের বাজি ছাড়পত্র পেত। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, এখন থেকে শব্দবাজি সর্বোচ্চ ১২৫ ডেসিবেল মাত্রা পর্যন্ত রাজ্যে বিক্রি হতে পারবে। তবে আতশবাজির ক্ষেত্রে তা সর্বোচ্চ ৯০ ডেসিবেল। এরপরই একটি সংগঠন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে। আজ সেই মামলার শুনানিতে সংগঠনের আইনজীবী বলেন, বিভিন্ন চাপসৃষ্টিকারী গ্রুপের জন্য এই শব্দমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। আর রাজ্য তা বাড়িয়েছে কোনও আলোচনা ছাড়াই। আইনজীবীর কথায়, রাজ্যের জনঘনত্ব মাথায় রেখে এটা কী ভাবে করা হয়েছে তা বোধগম্য নয়।
কিন্তু দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আইনজীবীর বক্তব্য, আদালতের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে অপব্যবহার করা ছাড়া এটা আর কিছু নয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো সবুজ বাজির ক্ষেত্রে ১২৫ ডেসিবল পর্যন্ত শব্দের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আলাদাভাবে কিছু করেনি। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ নিজের নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, সরকারি নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী একমাত্র পরিবেশবান্ধব বাজি (সবুজ বাজি) তৈরি করা, বিক্রি এবং ফাটানো যাবে।