ed
কলকাতা: শুধু চাল নয়, আটা নিয়েও হয়েছে রেশনে দুর্নীতি৷ ইডি-র আতস কাঁচে উঠে এসেছে সেই তথ্য৷ তা সত্ত্বেও কেন বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল না রাজ্য পুলিশ? কেন খাতায়-কলমে তোলা হল না এই চাল ব্যবসায়ীর নাম? তবে কি এর সঙ্গে জড়িত ছিল রাজ্য পুলিশ? সন্দেহ করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র কর্তারা৷ (ed)
তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, বাকিবুরের গাড়ি থাকত খাদ্যমন্ত্রীর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কনভয়ে। সুতরাং বাকিবুর রহমান যে কতটা প্রভাবশালী, তা সহজেই অনুমেয়।রাজ্য পুলিশ কেন তাঁকে তদন্ত থেকে বাদ রাখল? সন্দেহ জাগছে ইডি-র। ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত তিনটি মামলার তদন্ত করে রাজ্য পুলিশ। আর সবকটি অভিযোগই ছিল নদিয়ায়৷ কোতোয়ালি, নবদ্বীপ ও কৃষ্ণনগর থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের ভিত্তিতে চার্জশিটও দেওয়া হয়। সেই মামলা খতিয়ে দেখেই ইডি জানতে পেরেছে, খোলা বাজারে সরকারি স্ট্যাম্প দেওয়া রেশনের আটা বিক্রি হয়েছে৷ সেই আটা ভাঙানো হয়েছিল বাকিবুরের মিলে৷ কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রশ্ন, তিনটি মামলার তদন্ত হল, কিন্তু বাকিবুরের নাম সামনে এল না কেন? বাকিবুরের মিলে কেন তল্লাশি চালালো হল না? নদিয়া জুড়ে যাঁর একাধিক চালকল রয়েছে, তিনি কীভাবে পুলিশের নজরে এলেন না? উত্তর খুঁজছে ইডি৷