আগামী ৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বাধীন নির্বাচনের জন্য গঠিত কনজারভেটিভ ব্যাকবেঞ্চের ১৯২২ সালের কমিটির এমপিরা নির্বাচনের জন্য একটি টাইম টেবিল নির্ধারণ করেছেন এবং সেই তেবিলের তরফ থেকে সম্প্রতি এই তারিখ নিরধারন করা হয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। এর আগেই জানা গিয়েছিল ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছেন ভারতীয় বংশভূত ঋষি সুনাক। তাঁর নাম যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে সামনের সারিতে। তবে এই লড়াইয়ের পথ তাঁর জন্য মোটেই সহজ নয়। মনে কড়া হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর এই লড়াইকে ঋষিকে কাঁটায় কাঁটায় টক্কর দিতে চলেছেন প্রাক্তন ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট। শুধু তাই নয়, ঋষি সুনাকের দ্বিতীয় ও পরবর্তী প্রার্থী হিসাবে পেনি ইতিমধ্যেই ২০ জনের বেশি সাংসদের সমর্থন পেয়েছেন বলে খবর।
১৯২২ কমিটির চেয়ার গ্রাহাম ব্র্যাডি সাংবাদিকদের বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে নমিনেশন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে এবং মঙ্গলবার এটি বন্ধ হবে। গ্রীষ্মকালীন বিরতি থেকে ফেরার পর আগামী ৫ সেপ্টেম্বর নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত হবেন। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে ১১ জন তাদের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন অর্থাৎ নিজেদের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুজনকে বেছে নেওয়া হবে। সেই দুজনের মধ্যে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে একজনকে বেছে নেবেন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা। এই প্রার্থী তালিকায় অন্যতম আলোচিত নাম বরিস জনসন সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী লিজা ট্রাস ও অর্থমন্ত্রী তথা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। ঋষিকে বেছে নেওয়া হলে তিনিই হবেন ব্রিটেনের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ভোটের মাধ্যমে টোরি এমপিদেরকে আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে দুই প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে হবে। যেখানে দলের প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার সদস্য পরে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দুইজনের মধ্যে একজনকে বেছে নেবেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দলীয় চাপে হার স্বীকার করে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বরিস জনসন। সম্প্রতি তিনি একের পর এক বিতর্কে জড়ান। করোনার লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে মদের আসর থেকে শুরু করে ডেপুটি চিফ হুইপ হিসেবে ক্রিস পিনচারকে নিয়োগের ঘোষণা একে একে সবই তাঁর বিপক্ষে যেতে শুরু করে। শেষমেশ তাঁর ওপর আস্থা হারিয়ে ব্রিটেনের একের পর এক মন্ত্রী পদত্যাগ করতে শুরু করেন। শেষে বরিস নিজেও পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।