কর্মসংস্থান বাড়াতে বাংলার জন্য বড় পদক্ষেপ বিশ্ব ব্যাঙ্কের

কলকাতা: কৃষি, পরিবহণ, পরিবেশ সহ রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর উন্নয়নে আরও বিনিয়োগ করতে চায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এবিষয়ে আলোচনা করতে বিশ্ব ব্যাঙ্কের এক প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে রাজ্যে আসছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের বৈঠক আগামী বৃহস্পতি অথবা শুক্রবার বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি সরকারের বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করবেন। আলোচনায়

imagesmissing

কর্মসংস্থান বাড়াতে বাংলার জন্য বড় পদক্ষেপ বিশ্ব ব্যাঙ্কের

কলকাতা: কৃষি, পরিবহণ, পরিবেশ সহ রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর উন্নয়নে আরও বিনিয়োগ করতে চায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এবিষয়ে আলোচনা করতে বিশ্ব ব্যাঙ্কের এক প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে রাজ্যে আসছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে।

বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের বৈঠক

আগামী বৃহস্পতি অথবা শুক্রবার বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি সরকারের বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করবেন। আলোচনায় রাজ্য সরকারের যেসব প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সাহায্য চায় সেগুলির বিস্তারিত খতিয়ান ওই প্রতিনিধি দলের সামনে তুলে ধরা হবে। উন্নয়ন মূলক প্রকল্পে ঋন দেওয়া ছাড়াও পরামর্শদাতা হিসাবে
কাজ করে বিশ্বব্যাঙ্ক। লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও নতুন কিছু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তা নিশ্চিত করতে পারলে তা রাজ্য সরকারের বড় সাফল্য হিসাবে তুলে ধরা হবে।

বিশ্ব ব্যঙ্ক থেকে প্রাপ্ত পুরস্কারঃ

ইতিমধ্যেই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে রাজ্য সরকার বিশ্ব ব্যাঙ্ক -এর পুরস্কার পেয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ ছাড়াও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে কন্যাশ্রী, সবুজ সাথীর মত প্রকল্প ।

বৈঠকের সম্ভাব্য বিষয়ঃ

এদিকে বিশ্ব ব্যাঙ্ক -এর প্রতিনিধিদের সামনে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরতে সক্রিয় হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। সম্প্রতি লোকসভা ভোটকে টার্গেট করেই জেলাস্তরে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা এবং বেশি কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সব প্রকল্পের কাজ কতদূর এগিয়েছে তা নিয়ে জেলা শাসকদের
কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি জেলা শাসকের কাছে ওইসব সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের ওএসডি তথা ডেপুটি সেক্রেটারি বিনায়ক ঘোষ চৌধুরী।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশঃ

আলাদা আলাদা করে সাতটি পয়েন্টের উপর রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। চিঠিতে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর শেষ সফর পর্যন্ত তাঁর ঘোষণা করা এবং শিলান্যাস করা প্রকল্প সম্পর্কে রিপোর্ট দিতে হবে৷ এখনো পর্যন্ত যেসব প্রকল্পের কাজ ৭৫% পর্যন্ত হয়েছে তা নিয়ে আলাদা করে রিপোর্ট দিতে হবে। পাশাপাশি ৫০% কাজ হওয়া প্রকল্প ২৫% কাজ হওয়া প্রকল্প এবং এখনো কাজ শুরু হয়নি এসব প্রকল্পের উল্লেখও করতে হবে রিপোর্টে।  বিষয়টির গুরুত্ব বোঝাতে ‘মোস্ট আর্জেন্ট’-এর তকমাও লাগানো হয়েছে। এ বিষয়ে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী যেসব প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন এবং শিলান্যাস করেছেন, সেইসব প্রকল্প নিয়ে একটা রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। আমরা সেই রিপোর্ট দ্রুত পাঠিয়ে দেব।”

নবান্ন থেকে জেলা জেলায় এই চিঠি আসার পর অবিলম্বেই প্রতিটি দফতরেই সেই চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন জেলা পরিকল্পনা অফিসার। যত দ্রুত সম্ভব প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী রিপোর্ট জমা দেওয়ার নিদানও দিয়েছেন তিনি। জেলায় জেলায় বিভিন্ন বড় প্রকল্পের ঘোষণাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাস্তরে কোটি কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাসও করেছেন মন্ত্রী। যেমন, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, কর্মতীর্থ, পথের সাথী সহ নানা প্রকল্প রয়েছে। এইসব প্রকল্পের কাজের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানতেই রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য সরকার। এই রিপোর্ট সংগ্রহ করার পর ওইসব প্রকল্পের কাজের বর্তমান
অবস্থা বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরে ভবিষ্যৎ ঋণ পাওয়ার পথ সুগম হবে৷। তাছাড়া লোকসভা ভোটের প্রচারে ওইসব প্রকল্পের কাজের খতিয়ানও তুলে ধরা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *