Internal Divide
মালদহ: তখন শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেননি। বরং তাঁর হাত ধরেই আদ্যপ্রান্ত কংগ্রেস ঘরের মেয়ে মৌসম বেনজির নূর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহলে কম চর্চা হয়নি। সেই দলবদলের এখন বহু দিন কেটে গিয়েছে। আর দিন যত এগিয়েছে মৌসমের সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের দূরত্ব আরও বেড়েছে বলেই আলোচনা চলছে। খবর এমনও যে, আসন্ন নির্বাচনে তিনি টিকিট পান এমনটা চাইছেন না তৃণমূলেরই একাংশ। (Internal Divide)
মৌসমের সঙ্গে যে তৃণমূলের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে তার কানাঘুষো সব জায়গায়। মালদহের স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার তৃণমূল নেতাদের একটা বড় অংশ এখন তাঁকে দলে চাইছেন না। শুধু তাই নয়, মৌসম নূরকে যাতে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী না করা হয়, সেই আর্জি জানিয়ে তাঁরা চিঠি লিখছেন রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশে। তাঁদের মূল অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে মৌসমকে এলাকায় দেখতেই পাওয়া যায়নি। এছাড়া কোনও সমস্যা নিয়ে তাঁর বাড়িতে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তারপরেও যে সমস্যার কোনও সমাধান হয় এমনটাও নয়। স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যেও এই নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে।
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি মৌসম নূর। অথচ তিনি ছিলেন পরপর দু’বারের লোকসভার সাংসদ। এই হেরে যাওয়ার পর তাঁকে দলের তরফে রাজ্যসভার সাংসদ করা হয়। তাহলে কি তিনি আসন্ন নির্বাচনে টিকিট পাচ্ছেন না? আপাতত এই ইস্যুতে কোনও কথাই বলছে না জেলা নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, একমাত্র তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন প্রার্থী কে হবে।