কলম্বো: বুধবার সকালেইশ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। প্রসঙ্গত এদিনই তাঁর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই তিনি দেশ ছেড়ে পালানোয় এই মুহূর্তে কার্যত উত্তাল গোটা দ্বীপ রাষ্ট্র। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, আন্দোলন। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই শোনা যাচ্ছিল শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে দেশ ছেড়ে পালাতে সাহায্য করেছে ভারত। ভারত হাই কমিশনের মদতেই নাকি শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মলদ্বীপে পালাতে সক্ষম হয়েছেন গোতাবায়া। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শেষমেষ মুখ খুলল ভারত সরকার। জানা যাচ্ছে শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ গুজব এবং ভিত্তিহীন।’
হাই কমিশনের কথায়, ‘এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার মানুষের পাশে রয়েছে ভারত। ভারতের তরফ থেকে শ্রীলঙ্কার জনগণকে সমর্থন করা অব্যাহত থাকবে কারণ তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত করতে গণতান্ত্রিক উপায়ে মূল্যবোধ এবং গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। কিন্তু একথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন যে ভারতের মদতেই শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালাতে সক্ষম হয়েছেন।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। এরপর বুধবার সকালে শ্রীলঙ্কা সরকারের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাহায্যে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে, তাঁর স্ত্রী এবং সঙ্গে দুইজন নিরাপত্তারক্ষী মালদ্বীপে পালিয়ে গিয়েছেন। বুধবার ভোরেই তারা মলদ্বীপে পৌঁছেছেন এবং সেখানে কড়া পুলিশে নিরাপত্তায় কোনও গোপন জায়গায় আশ্রয় নিতে সক্ষম হয়েছেন শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট।
এদিকে আজই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ছিল গোতাবায়ার। কিন্তু সরকারি তরফে জানা গিয়েছে দেশ ছাড়ার আগে তিনি কোনো ইস্তফাপত্র জমা দেননি। এমনকি রাষ্ট্রপতির পথ সামলানোর ভারও কারোর ওপর দিয়ে যান নি বলে খবর। এমতাবস্থায় অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছেন রনিল বিক্রমসিংহে।