কলকাতা: নতুন আর্থিক বছর পড়তেই আয়কর রিটার্ন নিয়ে চিন্তিত বেতনভুক কর্মচারীরা। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রিটার্ন জমা করাই নিয়ম। কিন্তু এরই মধ্যে আয়কর বিভাগ জানিয়ে দিয়েছে, ফর্ম ১৬-তে বেশ কিছু রদবদল এনেছে তারা।
তাতে দেখা যাচ্ছে, করদাতাকে তাঁর আয় সংক্রান্ত বেশ কিছু বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে, যা এতদিন দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল না। কর্মচারীকে তাঁর সংস্থা কত টাকা বেতন দিল, তার বাইরেও ওই ব্যক্তি কত টাকা অন্যান্য খাত থেকে রোজগার করলেন, সব তথ্য এবার জানাতে হবে কর্মদাতা সংস্থাকে। তার উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে ফর্ম ১৬। আগামী ১২ মে থেকে নতুন ফর্ম ১৬ কার্যকর হওয়ার কথা। এর পাশাপাশি আয়কর রিটার্নের ক্ষেত্রেও কয়েকটি রদবদল এনেছে আয়কর দপ্তর। সেখানেও করদাতাকে তার সম্পত্তি বা লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।
আয়কর রিটার্ন জমা করার জন্য চাকরিজীবীরা ফর্ম ১৬ নিয়ে থাকেন কর্মদাতা সংস্থার থেকে। করদাতার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আয়কর বিভাগকে তথ্য জুগিয়ে থাকে কর্মদাতা। তার উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয় ফর্ম ১৬। সারা বছরে কর্মদাতার কাছ থেকে কত টাকা বেতন মিলেছে, কী কী প্রকল্পে কর্মচারী বিনিয়োগ করেছেন এবং আয়কর ছাড় চাইছেন, সেসব তথ্য থাকে ওই ফর্মে।
কর্মচারী যে তথ্য দেন, তার উপর ভিত্তি করেই আয়করের হিসেব কষা হয় এবং অগ্রিম কর জমা দেয়। এবার নতুন নিয়মে কী বলা হচ্ছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি কর্মদাতা ছাড়া অন্য কোনও জায়গা থেকে কেউ আয় করেন, তাহলে সেই তথ্য জানাতে হবে কর্মদাতাকে। সেভিংস অ্যাকউন্টের সুদ, অন্যান্য খাতে আয় করা কমিশন বা শেয়ারে বিনিয়োগ সম্পর্কিত তথ্য দিতে হবে সাধারণ করদাতাকে। জমা করতে হবে বাড়িভাড়া বাবদ পাওয়া আয় বা অন্যান্য আয়ও। এমনকী কী কী খাতে কত টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে করছাড় পাওয়ার জন্য, তারও পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব জমা করতে হবে করদাতাকে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, কর দিতে হয় না, এমন অ্যালাউন্স বা ভাতা, যা এতদিন ফর্ম ১৬-এ দেখাতে হতো না, তা এবার দেখাতে হবে।