অবশেষে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তাফা দিলেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে গত শনিবার থেকে ফের নতুন করে বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে শ্রীলঙ্কায়। পরিস্থিতির চাপে পড়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাহায্যে তিনি দেশ ছাড়তেও বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু তারপরেও ইস্তফা পত্র জমা না দেওয়ায় বাড়ছিল ক্ষোভ। কিন্তু শেষমেষ বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নিজের ইস্তফাপত্র শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকারকে ইমেইল করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে স্পিকার ইয়াপা আবেওয়াদেনার দফতর থেকেও চিঠিটির প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবারই মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুর গিয়েছেন রাজাপক্ষে। সিঙ্গাপুরে পৌঁছে এদিন রাতেই তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠান বলে খবর। যদিও আগে তিনি জানিয়েছিলেন যে আগামী ১৩ জুলাই তিনি পদত্যাগ করতে চলেছেন। কিন্তু সেদিন কোনও ইস্তফা পত্র জমা না দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছিল আদৌ কি গদি ছাড়বেন গোতাবায়া? অবশেষে যাবতীয় জল্পনা শেষে গতকাল অর্থাৎ ১৪ জুলাই রাতে নিজের ইস্তফা পত্র জমা দিলেন লঙ্কান প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবারই রাতের অন্ধকারে গোতাবায়া এবং তাঁর পরিবার গুপ্ত পথে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাহায্যে দেশ ছেড়ে পালাতে সক্ষম হয়েছিল। এরপর লঙ্কান প্রেসিডেন্ট সস্ত্রীক মালদ্বীপে গিয়ে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানেও তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে জানা যায় মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার তোরজোড় শুরু করেছেন রাজাপক্ষে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের একটি বিমানে চেপে তিনি সিঙ্গাপুরেও পৌঁছান এবং তারপরেই স্পিকারকে নিজের ইস্তফা পত্র ইমেইল করেন।
এদিকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নশিদ রাজাপক্ষের ইস্তফা প্রকাশের খবরে কার্যত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ‘প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ইস্তফা দিয়েছেন। আমি আশা করি, শ্রীলঙ্কা এবার নতুন পথে এগিয়ে যেতে পারবে। আমার বিশ্বাস, শ্রীলঙ্কায় থাকলে রাজাপক্ষে ইস্তফা দিতেন না। কেননা তাঁর প্রাণের ভয় ছিল। আমি মালদ্বীপ সরকারের বিবেচনামূলক পদক্ষেপের প্রশংসা করছি। শ্রীলঙ্কার জনগণের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল।’