বাবার সমর্থন কংগ্রেসে, মোদির সভায় মুকেশ-পুত্র! ভারসাম্যের রাজনীতি?

মুম্বই: দেশের রাজনীতিতে প্রবাদ আছে, ভোটের আগের পরিবর্তের গন্ধ সবার আগেই পেয়ে যান বড় ব্যবসায়ীরা৷ সেই গন্ধ পেয়ে শিবিরও বদলে ফেলেন রাতারাতি৷ তবে, এতদিন তা ছিল গোপনে৷ এবার সেই প্রবাদকে বাস্তব করে দেখালেন দেশের সব থেকে ধনী ব্যবসায়ী পরিবার৷ ভোটের হাওয়া বুঝতে ছেলে গেলেন বিজেপির প্রচারে বাবা দিলেন কংগ্রেসকে সমর্থনের বার্তা৷ যতই হোক ব্যবসা বাঁচিয়ে

imagesmissing

বাবার সমর্থন কংগ্রেসে, মোদির সভায় মুকেশ-পুত্র! ভারসাম্যের রাজনীতি?

মুম্বই: দেশের রাজনীতিতে প্রবাদ আছে, ভোটের আগের পরিবর্তের গন্ধ সবার আগেই পেয়ে যান বড় ব্যবসায়ীরা৷ সেই গন্ধ পেয়ে শিবিরও বদলে ফেলেন রাতারাতি৷ তবে, এতদিন তা ছিল গোপনে৷ এবার সেই প্রবাদকে বাস্তব করে দেখালেন দেশের সব থেকে ধনী ব্যবসায়ী পরিবার৷ ভোটের হাওয়া বুঝতে ছেলে গেলেন বিজেপির প্রচারে বাবা দিলেন  কংগ্রেসকে সমর্থনের বার্তা৷ যতই হোক ব্যবসা বাঁচিয়ে যে রাখতে হবে না! তবে, এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক মতাদর্শের কথা বলা হলেও, আদৌ মানবেন জনতা?

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, দিনকয়েক আগেই দক্ষিণ মুম্বইয়ের কংগ্রেস প্রার্থী মিলিন্দ দেওরার সমর্থনে ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি। বলেছিলেন, ‘‘মিলিন্দ সাউথ বম্বের ছেলে। ১০ বছর ধরে মিলিন্দ সাউথ বম্বের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাই এখানকার সামাজিক, আর্থিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে মিলিন্দের৷ তবে, এই ভিডিও মুকেশের নয় বলেও কোনও কোনও মহল থেকে দাবি জানানো হয়েছে৷ এই নিয়ে দেশের রাজনীতি বিতর্ক বাঁধলেও ‘কুছ পরোয়া নেহি’ ধনী ব্যবসায়ী পরিবারের৷ বাবার ভিডিও বার্তা নিয়ে বির্তকের রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্রবার বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সে মোদির সভায় একেবারে সামনের আসনেই হাজির মুকেশ পুত্র অনন্ত আম্বানি৷

বাবার সমর্থন কংগ্রেসে, মোদির সভায় মুকেশ-পুত্র! ভারসাম্যের রাজনীতি?কেন এসেছেন? প্রশ্নের জবাবে অনন্ত বলেন, ‘‘আমি দেশকে সমর্থন করতে ও নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য শুনতে এখানে এসেছি৷’’ তবে, দেশকে সমর্থন করতে ও মোদির ভাষণ শুনতে ব্যবসায় খতিয়ে করে বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সে? যুক্তি ঘিরে মতলবটা খুবই স্পষ্ট!

এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কী ভারসাম্যের রাজনীতিই নিচ্ছে আম্বানি পরিবার? মুকেশের ভাই অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে রাফাল দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস৷ তারপরও সেই পরিবারের সদস্যের ভারসাম্যের রাজনীতি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *