arijit singh
কলকাতা: দেশের পয়লা নম্বর গায়ক তিনি৷ তাঁর সুরেলা কন্ঠে মোহিত আট থেকে আশি৷ সফল্যের শিখরে যাঁর বিচরণ, তাঁর পা আজও মাটিতে৷ অরিজিৎ যেন এযুগের ‘সন্ন্যাসী রাজা’৷ এত সাফল্য, এত খ্যাতির পরেও অরিজিৎ একজন মাটির মানুষ৷ অত্যন্ত সাদামাটা জীবনে নেই কোনও আতিশয্য৷ না আছে কোনও চাকচিক্য৷ মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে তিনি আজও ঘরের ছেলে৷ স্কুটারে চড়েই ঘোরেন গ্রামের পথে পথে৷ মুম্বইয়ে রাজত্ব করলেও জিয়াগঞ্জেই আটকে তাঁর মন-প্রাণ। এ বছর কালীপুজোটা জিয়াগঞ্জের বাড়িতেই কাটালেন অরিজিৎ।
জিয়াগঞ্জের এই সাদামাটা ছেলেটার গানই নয়, বারবার তাঁর সাধারণ জীবনযাপন বারবার মুগ্ধ করেছে নেটাগরিকদের৷ যাঁর গান শুনতে দূর দূর থেকে মানুষ ছুটে আসে, যাঁর এক ঝলক পেতে ভক্তরা মুখিয়ে থাকে, তাঁর কনসার্ট শোনার জন্য লাখ লাখ টাকা হেলায় খরচ করেন, সেই অরিজিৎ জিয়াগঞ্জে পা রাখলেই অন্য মানুষ। তবে গানের পাশাপাশি অরিজিৎ তাঁর পরিবারকেও ভীষণ ভালোবাসেন৷ স্ত্রী ও সন্তানরাই যেন তাঁর প্রাণ৷ দেশের এক নম্বর গায়ক হয়েও তিনি যেভাবে নিজের ব্যক্তিজীবন ও পেশা জীবনকে ব্যালেন্স করে চলেন, তা এক কথায় অনবদ্য৷ যে কোনও অনুষ্ঠানে তিনি যে জিয়াগঞ্জে পরিবারের সঙ্গে থাকতেই পছন্দ করেন, সে কথাও আজ কারও অজানা নয়। বিশেষ বিশেষ দিনে অনুষ্ঠান, উৎসবে যখন গায়কদের ডাক পড়ে, তখন অরিজিৎ নিজেকে সরিয়ে নেন সকলের থেকে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে সুইচ অফ রাখেন ফোন৷
View this post on Instagram
এবছর কালীপুজোতে অরিজিতের দেখা মিলল জিয়াগঞ্জেই৷ সেখানেই দীপাবলী পালন করলেন গায়ক৷ শুধু এটুকুই নয়, এ দিন অরিজিৎ সোজা হাজির হলেন পাড়ার কালীমন্দিরে। সঙ্গে স্ত্রী কোয়েল। খালি পা, পরনে সবুজ পাঞ্জাবি, হাতে মিষ্টির প্যাকেট। পাড়ার আর পাঁচটা লোকের মতোই মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলেন। গায়ককে মন্দিরে রীতিমতো আপ্লুত তাঁর ভক্তরা। অনেকেই নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না৷ তবে এদিন কেউ তাঁকে বিরক্ত করেননি৷ তবে অরিজিৎ যখন সকলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে পুজো দিচ্ছেন, তখন মন্দিরে উপস্থিত মহিলা ভক্তরা প্রতিমা ছেড়ে অরিজিৎকেই দেখতে ব্যস্ত ছিলেন। তবে এটাই তো প্রথম নয়৷ জিয়াগঞ্জের রাস্তায় একেবারে সাধারণ মানুষের মতোই ঘুরে বেড়ান অরিজিৎ। থলে হাতে বাজারে যান৷ ছেলেদের স্কুটিতে চাপিয়ে নিয়ে যান স্কুলে৷ ঠিক সেই কারণেই তো অরিজিৎকে নিয়ে এত গর্বিত বাংলা৷