কলকাতা: প্রায় ১ মাস পার হল ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধের। এই সংঘাত কবে থামবে, কতজনের মৃত্যুর পর থামবে তা কেউই জানে না। রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে শুরু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সকলেই এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যে করা হবে না তা স্পষ্ট করেছে ইজরায়েল সরকার। এদিকে এই যুদ্ধের বড় প্রভাব যে ভারতের কলকাতা শহরে পড়েছে তা ক’জন জানে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক দিন পর থেকেই তালা পড়েছে কলকাতায় ইহুদিদের ধর্মস্থানে। দুই দেশের সংঘাত নিয়ে সিনাগগ-পাড়া রীতিমতো তটস্থ। বড়বাজারের কেন্দ্রে ইহুদিদের এই ধর্মস্থান রয়েছে। সেখানে এখন কার্যত শ্মশানের মতো অবস্থা। প্রার্থনা হয় না, আছেন বলতে একজন দেহরক্ষী। জানা গিয়েছে, আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে রাখা হয়েছে এই ধর্মস্থান। শেষ এই ধর্মস্থান প্রার্থনার জন্য খুলেছিল ২০ দিন আগে। তারপর থেকেই তা বন্ধ হয়ে আছে। যদিও প্রার্থনা যে একদম হয় না তা নয়। যাদের প্রার্থনা করার কথা তারা একটা নির্দিষ্ট সময়ে আসেন, সেইটুকু সময়ই সিনাগগ খোলা হয়।
তিলোত্তমায় ইহুদিদের বাস বহুকালের। ইজরায়েল দেশ তৈরির পরে একাংশ সে দেশে পাড়ি দিলেও বহু নাগরিক এখানেই থেকে গিয়েছিলেন। যদিও এখন কলকাতায় ইহুদিদের সংখ্যা হাতে গোনা। খুব বেশি হলে ৭০-৮০ জন হবে। তবে তারা বাকি জনমানসের সঙ্গে কোনও দিনই খুব একটা মিশে যাননি। ইহুদিরা নিজেদের মতো করেই থেকে গিয়েছে।