মোদী জমানায় জিডিপি বৃদ্ধির তথ্যে কারচুপির পর্দা-ফাঁস

নয়াদিল্লি: মোদী জমানায় বিপুল হারে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বা জিডিপি ঘটেছে বোঝাতে তথ্য পরিসংখ্যানে কারচুপি যে ছিল তা এবারে হাতেনাতে প্রমাণ হয়ে গেল। গত বছরের শেষেও মোদীর জমানায় জিডিপি বেশি হারে বাড়ছে বোঝাতে নীতি আয়োগ তাদের নতুন সূত্রের জিডিপি গণনার হিসাব পেশ করে। যাতে মোদী জমানায় জিডিপি হার ইউপিএ আমলের থেকেও বেশি বলে ঘোষণা করেছিল।

imagesmissing

মোদী জমানায় জিডিপি বৃদ্ধির তথ্যে কারচুপির পর্দা-ফাঁস

নয়াদিল্লি: মোদী জমানায় বিপুল হারে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বা জিডিপি ঘটেছে বোঝাতে তথ্য পরিসংখ্যানে কারচুপি যে ছিল তা এবারে হাতেনাতে প্রমাণ হয়ে গেল। গত বছরের শেষেও মোদীর জমানায় জিডিপি বেশি হারে বাড়ছে বোঝাতে নীতি আয়োগ তাদের নতুন সূত্রের জিডিপি গণনার হিসাব পেশ করে। যাতে মোদী জমানায় জিডিপি হার ইউপিএ আমলের থেকেও বেশি বলে ঘোষণা করেছিল।

এবারে কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিস (এনএসএসও) সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করে জানাচ্ছে মোদী আমলের যে জিডিপি হার প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বিপুল গোঁজামিল রয়েছে। যে শিল্প সংস্থার আর্থিক বৃদ্ধি জিডিপি হার বাড়িয়েছে বলে দাবি তেমন শিল্প সংস্থার প্রায় এক-তৃতীয়াংশেরই কোনও অস্তিত্বই নেই। ফলে আর্থিক বৃদ্ধির হিসাব আগাগোড়া একটা কারচুপি ছাড়া কিছু নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। শিল্পসঙ্কট, কৃষিসঙ্কট, ছোট কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া, বেকারি চরম হারে বেড়ে চলার পরও মোদীর নীতি আয়োগের বিপুল জিডিপি হার বৃদ্ধির দাবি নিয়ে অভিজ্ঞ মহলে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তাতে সন্দেহ ছিল। এবারে এনএসএসও-র রিপোর্ট তাতে সিলমোহর পড়ল।

জিডিপি-র হার নির্ধারণে মোদীর নির্দেশে নীতি আয়োগ নতুন গণনা পদ্ধতি নিয়ে আসে। সেই নয়া পদ্ধতির গণনায় জিডিপি হার গত নভেম্বরে প্রকাশ করে নীতি আয়োগ। ঘোষিত সেই জিডিপি হারে কারচুপির কথাই উঠে এলে গত সপ্তাহে প্রকাশিত কেন্দ্রের এনএসএসও-র রিপোর্টে। ২০১৬ সালের মে থেকে ২০১৭ সালের জুনে এই ১২ মাসে জিডিপি হার নিয়ে সমীক্ষা চালায় এনএসএসও। কৃষি, শিল্প, পরিষেবা সহ বিভিন্ন আর্থিক উৎপাদন ক্ষেত্রে কী হারে বৃদ্ধি ঘটছে তার ভিত্তিতে জিডিপি হার নির্ধারণ করা হয়। এখানে শিল্পের আর্থিক বৃদ্ধি নির্ধারণ করতে নির্দিষ্ট শিল্পের ভিত্তিতে তার উৎপাদনের বৃদ্ধি বা হ্রাস ঘটেছে কিনা তা দেখা হয়।

এই শিল্প সংস্থা কারা তা খতিয়ে দেখেছে এনএসএসও। এতেই ধরা পড়ে বিপুল কারচুপি। রিপোর্ট বলছে, যেসব শিল্প সংস্থার নাম রয়েছে তার মধ্যে ৩৬% শিল্প সংস্থার কোনও অস্তিত্ব নেই। এই সব শিল্প সংস্থার যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সেই ঠিকানায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে তাদের কোনও অস্তিত্বই নেই। নির্দিষ্টভাবে প্রতিটি শিল্প সংস্থার ধরেই তাদের খোজ খবর নেয় সংস্থা। রিপোর্টে তা উল্লেখ করতে গিয়ে বলা হয়েছে, ১৫শতাংশ শিল্প সংস্থা হয় বন্ধ নয় কোনও অস্তিত্ব নেই। এছাড়া ২১% শিল্প সংস্থা যে কারণে সমীক্ষার তথ্যের জন্য তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে তারা সেই তালিকায় পড়ে না। যেমন বেশ কিছু শিল্প পরিষেবা শিল্প হিসাবে নেওয়া হয়েছে তারা আদৌ পরিষেবা শিল্পের মধ্যেই নেই। এছাড়াও বেশ কিছু শিল্প তালিকায় রাখা হয়েছে তাদের কাছে উৎপাদন সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হলেও তা তারা দেয়নি বা তারা তাদের এনিয়ে কোনও তথ্য সংরক্ষণ করে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *