কলকাতা: ফনি ওড়িশা উপকূলে তাণ্ডব চালালেও গতিপথ পাল্টানোয় শেষ মুহূর্তে বড়সড় ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পেয়েছিল এ রাজ্য। তবে ফনির প্রভাব থেকে বাঙালির হেঁসেল মুক্ত হতে পারল না। ফনি আছড়ে পড়ার পরে ওড়িশা থেকে এ রাজ্যে আসা সামুদ্রিক মাছের জোগান অনেক কমে গিয়েছে। যার ফলে দাম বেড়েছে মাছের।
তার উপরে প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে এখন মাছ সংরক্ষণে বরফ বেশি লাগছে। এই দুয়ের জেরে মাছের দাম ঊর্ধ্বমুখী। পুরী, চিল্কার পাশাপাশি এ রাজ্যের নামখানা, কাকদ্বীপ, দীঘা থেকেও মাছের জোগান কমে গিয়েছে। যার জন্যে তোপসে, ইলিশের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
পাইকারি বাজারে চিংড়ি, ভোলা সহ বেশিরভাগ মাছের দামই গড়ে কেজি প্রতি ৫০ টাকা করে বেড়েছে। রুই, কাতলার জোগান ভালো থাকায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে। অন্তত আগামী এক সপ্তাহ এই অবস্থা মাছ বাজারে চলবে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। শতাব্দী প্রাচীন পাইকারি মাছের বাজার পাতিপুকুর মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ফনির প্রভাবে অন্তত ৩০ শতাংশ মাছের জোগান কমে গিয়েছে। তার উপর এখন লগনশা চলায় মাছেরও চাহিদা রয়েছে।