লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রির ব্যবস্থা চূড়ান্ত করল কেন্দ্র

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দ্রুত ঢালাও বিক্রির উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। কেন্দ্র স্থির করেছে লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিক্রি প্রক্রিয়া আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যেই সেরে ফেলা হবে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক এই বিলগ্নি দ্রুত সারতে বিক্রি প্রক্রিয়ার ধারা বদল করেছে। নতুন ধারায় ৩-৪ মাসের মধ্যে বিক্রির প্রক্রিয়া শেষ না হলে তা বাতিল বলে ধরা হবে।

imagesmissing

লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রির ব্যবস্থা চূড়ান্ত করল কেন্দ্র

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দ্রুত ঢালাও বিক্রির উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। কেন্দ্র স্থির করেছে লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিক্রি প্রক্রিয়া আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যেই সেরে ফেলা হবে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক এই বিলগ্নি দ্রুত সারতে বিক্রি প্রক্রিয়ার ধারা বদল করেছে। নতুন ধারায় ৩-৪ মাসের মধ্যে বিক্রির প্রক্রিয়া শেষ না হলে তা বাতিল বলে ধরা হবে। তবে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রির ক্ষেত্রে এই সময়সীমা বাড়িয়ে ৬ মাস করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক সূত্রে এখবর জানা গিয়েছে।

সংবাদসংস্থা পিটিআই অর্থমন্ত্রকের সূত্রে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রির ক্ষেত্রে সেভাবে কোনও সময়সীমা নেই। ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রিতে মাসের পর মাস পেরিয়ে যেত। এবারে নির্দিষ্ট সময়ের বিক্রি প্রক্রিয়া সমাপ্ত না হলে পুরো প্রক্রিয়া বাতিল বলে গণ্য হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁর সরকারের অন্যতম সাফল্য হলো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নি। তাঁর আমলেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিলগ্নি করে সবচেয়ে বেশি অর্থ সংগ্রহ করেছে কেন্দ্র। এবারে কম সময়ের মধ্যেই ঢালাও বিক্রি করে সেই অর্থ তোলার কাজ সেরে ফেলতে চাইছে মোদী সরকার। এদিকে চলতি আর্থিক বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নি থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রকের অধীন ‘ডিপার্টমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (ডিআইপিএএম)’ জানিয়েছে, নীতি আয়োগ যে ৩৫টি লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রির সুপারিশ করেছে সেগুলি দ্রুত বিক্রি করার প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। ডিআইপিএএম জানিয়েছে, এই তালিকার বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা দীর্ঘদিন ধরেই বিক্রির জন্য পড়ে রয়েছে। এবারে তা ৩-৪ মাসের মধ্যে বিক্রির কাজ শেষ করা হবে। দপ্তর জানিয়েছে, আগে একটি সংস্থার বিক্রি শেষ হলে আরেকটির বিক্রি প্রক্রিয়া শুরু হত।

এবারে একসঙ্গে অনেকগুলি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তা ৩-৪ মাসের মধ্যেই শেষ করা হবে। তুলনায় বড় আয়তনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিক্রি প্রক্রিয়া ৬ মাসের মধ্যে শেষ করা হবে। যে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির ঢালাও বিক্রি হবে তার মধ্যে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া ও তার সহায়ক সংস্থা এআইএটিএসএল, বিইএমএল, স্কুটারস ইন্ডিয়া, পবন হংস, ভারত পাম্পস কম্প্রেসরস, সেইলের সালেম, ভদ্রাবতী ও দুর্গাপুর ইউনিট। অন্যদিকে যে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি বিক্রির অনুমোদনের তালিকায় রয়েছে সেগুলি হলো, হিন্দুস্থান ফ্লুরোকার্বন, হিন্দুস্থান নিউজপ্রিন্ট, এইচএলএল লাইফ কেয়ার, সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিক্স, ব্রিজ অ্যান্ড রুফ ইন্ডিয়া, এনএমডিসি’র নগরনর স্টিল প্ল্যান্ট, সিমেন্ট কর্পোরেশন এবং আইটিডিসি। দেখা গিয়েছে, এই তালিকার অনেক সংস্থার বিক্রির প্রক্রিয়া ২০১৭ সালে ও ২০১৮ সালের প্রথমে শুরু হলেও ক্রেতা না মেলায় সম্ভব হয়নি।

যেমন পবন হংস , ভারত পাম্প অ্যান্ড কম্প্রেসর, হিন্দুস্থান ফ্লুরোকার্বনের বিক্রি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের এপ্রিলে এবং স্কুটার ইন্ডিয়া, হিন্দুস্থান নিউজপ্রিন্ট, ২০১৮ সালের মার্চে এছাড়া অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট ফেব্রুয়ারিতে বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিভিন্ন কারণে এসব সংস্থার বিক্রির কাজ শেষ হয়নি। মোদী সরকার গত আর্থিক বছরে বিলগ্নি থেকে সংগ্রহ করে করেছে ৮৪ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছে সংস্থা পুরোপুরি বিক্রি করে দিয়ে। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত এনবিসি অপর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এইচএসসিসি’র ২৮৫ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে, চারটি বন্দরের কনসরটিয়াম রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ড্রেজিং ইন্ডিয়ার ৭৪ শতাংশ শেয়ার কিনেছে ১ হাজার ৪৯ কোটি টাকায়। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা আরইসি’র ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাওয়ার ফিনান্স কর্পোরেশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *