কলকাতা: এতদিন ছিল লুকিয়ে-চুরিয়ে৷ এবার মাছ তাজা রাখতে প্রকাশ্যে ফর্মালিনের মতো রাসায়নিক বিষ প্রয়োগের উপর ছাড়পত্র দিতে চলেছে কেন্দ্র৷ তবে, মাছে কতটা ফর্মালিন দেওয়া হবে, তার মাত্রা নির্ধারিত হতে চলেছে বলে খবর৷
মূলত, মাছের পচন রুখতে এই অসাধু প্রক্রিয়াটি চালিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা৷ এ রাজ্যের মাছে ফর্মালিন দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিহার সহ কয়েকটি প্রতিবেশী রাজ্য বাংলার মাছ কেনা বন্ধ করে দেয়৷ এতে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েন ব্যবসায়ীদের একাংশ৷ তা নিয়ে তীব্র জলঘোলা শুরু হয়৷ এবার এই সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, মাছে ফর্মালিন থাকবে৷ এটা স্বাভাবিক বিষয়৷ তবে তার মাত্রা নির্দিষ্ট রাখতে হবে৷ মাছে ফর্মালিন মেশানো মানেই তো ক্ষতিকারক৷ তবে কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, যে সীমারেখা তারা বেঁধে দিয়েছে, তা আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত কি না, তা দেখার প্রয়োজন আছে৷ দরকারে সেই সীমার বদল করা হবে৷
একটি নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি জানিয়েছে, মিষ্টি জলের মাছে কেজিপ্রতি চার মিলিগ্রাম ফর্মালিন দেওয়া যেতে পারে৷ সামুদ্রিক মাছে তা বেড়ে হতে পারে ১০০ মিলিগ্রাম৷ মুম্বই হাইকোর্টের নির্দেশিকাকে মান্যতা দিয়ে এই সীমারেখা রাখা হয়েছে৷ তবে, বিষয়টি বিবেচনা করে ভবিষ্যতে তা তুলে নেওয়া হতে পারে৷ মাছে আদৌ কত ফর্মালিন থাকা উচিত ইতিমধ্যেই তা নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী মাছে ফর্মালিনের মাত্রা হিসেবে মেনে নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে৷