two fraudsters
নিজস্ব প্রতিনিধি: ভুয়ো চাকরিচক্রের পর্দা ফাঁস করল লালবাজার। পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুই জালিয়াত।
রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে জালিয়াতির অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত সায়ন্তন দাস ও প্রকাশ বসুর বিরুদ্ধে ৩৭ লক্ষ টাকা জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের। উত্তর কলকাতার বাসিন্দা তরুণী দুই বোন চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ৭-৮ মাস আগে তাঁরা তাঁদের বাবার বন্ধু প্রকাশ বসুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময় প্রকাশ তাঁদের বলেন নবান্ন অর্থাৎ রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর নাকি ভাল যোগাযোগ রয়েছে। যার ভিত্তিতে তিনি দুই বোনকে নগরোন্নয়ন দফতরে চাকরি করে দিতে পারবেন। শুধু তাই নয়, প্রকাশ তাঁদের বলেন এর জন্য চাকরির পরীক্ষাও দিতে হবে না দুই বোনকে।
শুধু চাকরির জন্য ৩৭ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এরপর বেশ কয়েক দফায় ওই টাকা দুই বোন তুলে দেন প্রকাশ বসুর হাতে। সেই টাকার ভাগ নিয়েছিলেন সায়ন্তন দাস নামে অন্য এক ব্যক্তি। দুই তরুণীর অভিযোগ সায়ন্তন ভুয়ো নথিপত্র তাঁদের দিয়েছিলেন। নগরোন্নয়ন দফতরের জাল হলোগ্রাম-সহ নকল নিয়োগপত্র দেওয়া হয় তাঁদের। তবে সেই নিয়োগপত্র যে জাল প্রথমে বুঝতে পারেননি দুই তরুণী। একটা সময় সেই নিয়োগপত্র নিয়ে নবান্নে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়েই তাঁরা আসল সত্যটা জানতে পারেন। এরপর প্রকাশ বসুর কাছে গিয়ে গোটা ঘটনাটি জানান দুই বোন। তখন সায়ন্তন দুই বোনকে কয়েকটি চেক দেন প্রকাশের মাধ্যমে। বলা হয় তাঁরা টাকা ফেরত দিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু সেই চেকগুলি ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার পর ‘বাউন্স’ করে। এরপর জোড়াবাগান থানায় প্রকাশ ও সায়ন্তনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন দুই তরুণী। ঘটনার তদন্ত শুরু করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের প্রতারণা দমন শাখা। আর সেই সূত্রেই পুলিশ গ্রেফতার করে প্রকাশ ও সায়ন্তনকে। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে এই ঘটনার পিছনে রয়েছেন আরও এক ব্যক্তি। তিনি পলাতক। সেই ব্যক্তিই এই ভুয়ো চাকরিচক্রের মূলচক্রী বলে পুলিশ নিশ্চিত। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত রয়েছেন কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।