hc
কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানির প্রথম দিনেই বিচারপতিদের তোপের মুখে পর্ষদ। তাদের বক্তব্যের মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে বলে এদিন ভর্ৎসনা করেন আদালত৷ বিচারপতি জানান, কী ভাবে হাই কোর্টে একধরনের কথা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে অন্য কথা তারা বলেছেন, সেটা পরিষ্কার করে পর্ষদকে জানাতে হবে৷ সাত দিনের মধ্যে তাদের হলফনামা জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ উচ্চ আদালতের৷ (hc)
সুপ্রিম কোর্টে নিয়োদ দুর্নীতির মামলা গেলে, তা হাই কোর্টেই ফেরত পাঠানো হয়৷ এই মামলার দ্রুত শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করার নির্দেশও দেওয়া হয়৷ গত ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা আগামীকাল শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হবে বলে জানান বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলাগুলি শীর্ষ আদালত কেন হাই কোর্টে পাঠাল তা আগে বুঝতে চাইছে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জানাচ্ছে, এখানে একাধিক মামলা রয়েছে। তার মধ্যে আরও নতুন আবেদন যুক্ত হবে কিনা, বা একই ধরনের মামলা থাকলে মামলার সংখ্যা কমিয়ে এনে শুনানি করা হবে কিনা। সেটা বুঝে নিতে চাইছে হাই কোর্ট৷ আদালত জানানয়, প্যানেল বাতিল হলে বহু কর্মরতের চাকরি যাবে৷ চাকরি বাতিল করা হলে কোন আইনে তা করা হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে সেটাও জানতে চেয়েছে আদালত৷
রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই সমস্ত মামলায় রাজ্যকে পার্টি না করেই এক তরফা ভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফলে এই মামলা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।