alliance
নিজস্ব প্রতিনিধি: যবে থেকে ‘ইন্ডিয়া’ জোট হয়েছে তখন থেকে জল্পনা চলছে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে আদৌ আসন রফা হবে কি? উত্তরটা বেশ কঠিন। সেই সঙ্গে আরও একটি বিষয় নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে বেশ চর্চা হয়েছিল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেভাবে লাগাতার বিরোধিতা করে আসছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, তাতে বঙ্গে কংগ্রেস-তৃণমূলের জোট বা আসন রফা যে কার্যত সম্ভব নয় সেই পরিস্থিতি কিছুদিন আগেও ছিল। তখন জল্পনা ছড়ায় অধীর চৌধুরীকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেবে হাইকমান্ড। তুলনায় তৃণমূলের প্রতি নরম (পড়ুন প্রদীপ ভট্টাচার্য) এমন কাউকে প্রদেশ সভাপতি করা হতে পারে বলে চর্চা শুরু হয়। উদ্দেশ্য একটাই, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে আসন রফা চূড়ান্ত করা।
কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। তবে মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে যেভাবে কংগ্রেস বা বলা ভাল খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে সমীকরণ বদলে যেতে শুরু করেছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কারণ সংসদে প্রশ্ন ঘুষ কাণ্ডে অভিযুক্ত মহুয়ার পাশে তৃণমূল প্রথমে সেভাবে দাঁড়ায়নি। উল্টোদিকে প্রথম থেকেই অধীর প্রকাশ্যে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে আদানি ইস্যুতে বিজেপির তীব্র বিরোধিতা করে গিয়েছেন। অধীর তথা কংগ্রেসের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে খুশি করেছে তৃণমূলকে। আর গত এক মাসের মধ্যে অধীর তীব্র ভাষায় আক্রমণ করছেন মমতাকে, এটা কিন্তু দেখা যায়নি। তাই জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কী পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে আসন রফা হতে চলেছে? যা কিনা কয়েক মাস আগেও সম্ভব ছিল না তা হঠাৎই দানা বাঁধতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তবে সেই জোট যদি শেষ পর্যন্ত হয় সেখানে কিন্তু সিপিএম তথা বামেদের থাকার সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে।
লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের জোট হবে এই প্রেক্ষাপট বহুদিন ধরেই তৈরি হয়েছে। একে অপরকে সেই বার্তা বহুদিন ধরেই দিচ্ছে। এই আবহের মধ্যে হঠাৎই সামনে চলে এল প্রশ্ন ঘুষ কাণ্ড। যে বিষয়টি বঙ্গ রাজনীতির সমীকরণ বদলে দিতে পারে বলে রাজনীতির কারবারিদের মত। কিছুদিনের মধ্যেই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠক বসতে চলেছে নয়াদিল্লিতে। মূলত আসন রফা নিয়েই সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে শেষ পর্যন্ত জোট হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।