নিউইয়র্ক: ৭৫ বছর বয়সি বুকারজয়ী লেখক সলমন রুশদির ওপর ছুরি নিয়ে হামলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০ সেকেন্ডের মধ্যে তাঁকে অন্তত ১০-১৫ বার ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে। আপাতত তিনি হাসপাতালে ভেন্টিলেটরে আছেন এবং তাঁর একটি চোখ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও আছে। হামলাকারীকে আগেই আটক করেছে পুলিশ। এখন জানতে পারা গিয়েছে যে তার নাম হাদি মাটার। কিন্তু সে কে, কেনই বা হামলা চালাল রুশদির ওপর?
আরও পড়ুন: ন্যান্সির সফর শেষেই তাইওয়ানকে ‘বিপজ্জনক অঞ্চল’ ঘোষণা চিনের, আকাশসীমায় ঢুকল ২৭টি যুদ্ধবিমান
পুলিশ সূত্রে খবর, হাদি মাটার নামে ওই হামলাকারীর বয়স ২৪ বছর। বাড়ি নিউ জার্সিতে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত হাদি ইরানিস সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল। কেন রুশদির ওপর এইভাবে আঘাত করা হল? মনে করা হচ্ছে, তাঁর লেখা বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ এর কারণ হতে পারে। একাধিক মুসলিম সংগঠনের দাবি, ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে ওই বইটি লিখেছেন সলমন। হাদিও সেই প্রেক্ষিতেই তাঁকে হামলা করেছে বলে অনুমান। আসলে এই বইয়ের জন্যই ১৯৮৯ সালে রুশদির বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়েছিল। জারি করেছিলেন ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা রুহোল্লা খোমেইনি। সলমনের মাথার দাম রাখা ছিল প্রায় ৩০ লক্ষ ডলার। এমনকি ওই বইয়ের কারণেই নব্বইয়ের দশকে ইটালির মিলানে রুশদির উপর হামলা চালানো হয়েছিল। এছাড়াও এই বইয়ের জাপানি অনুবাদককেও খুন করা হয়েছিল।
এদিকে জানা গিয়েছে, হাদি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য একটি পাস জোগাড় করেছিল। তবে তার সঙ্গে অন্য কেউ এই কাজে জড়িত কিনা তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগও উদ্ধার করা গিয়েছে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সলমন রুশদি স্থিতিশীল থাকলেও তাঁর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।