cm
নিজস্ব প্রতিনিধি: বকেয়া মেটানোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে সাক্ষাৎ করার জন্য সময় চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে শনিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সময় দিলে ভাল। না হলে আমাদের যা করার করব।”
ঘটনা হল চলতি মাসের ১৭ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে দিল্লিতে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের পরবর্তী বৈঠক হবে। সেই সময় দিল্লিতে গিয়ে ১৮-২০ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোনও এক দিন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বকেয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে আরও বলেন, “একমাত্র বাংলার সব প্রাপ্য টাকাই বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। তা সত্ত্বেও আমরা কিন্তু কোনও স্কিম বন্ধ করিনি। সেই স্কিমগুলোর টাকা যাতে আমরা পাই তার জন্য আমি ১৮, ১৯, ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ডেট চেয়েছি। যদি ডেট দেয় তো ভাল, না হলে আমি তো ১৭ ডিসেম্বর দিল্লি যাচ্ছি।”
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে চান তিনি। মমতা বলেন, “একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা দেয়নি কেন্দ্র। আমাদের টাকা আটকে রয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও আমাদের শেয়ার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের যে ভাগের টাকা পাই সেটা বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামীণ রাস্তা তৈরির টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে টাকা পাওয়ার কথা সেটা দেওয়া হচ্ছে না। এটা আমাদের প্রাপ্য টাকা৷”
সম্প্রতি শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে। এরপর সুদীপ দাবি করেন যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁকে বলেছেন বকেয়ার বিষয়টি নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যেন কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। যদিও সুদীপের দাবি অস্বীকার করেন গিরিরাজ। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বকেয়া ইস্যুতে সাক্ষাৎ করতে চাইছেন তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন কেন্দ্রের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “সব রাজ্য যদি এই টাকা পায় তবে আমাদের রাজ্য কেন পাবে না? এই জন্যই আমরা সময় চেয়েছি।” তাই চলতি মাসে মোদী-মমতার সাক্ষাৎ হয় কিনা, আর যদি বৈঠক হয় তাতে বরফ গলে কিনা, সেটাই দেখার।