সেঞ্চুরি হাঁকাল পেঁয়াজ, ডবল সেঞ্চুরি মাংসে, মহার্ঘ ডিম! এবার খাবেন কী?

কলকাতা: লাগামছাড়া বাজারদর নিয়ন্ত্রণে গত ১৪ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের পর সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন সাত দিনের মধ্যে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে৷ কিন্তু, পেঁয়াজ নিয়ে কেন্দ্রের গড়িমসির কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে৷ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পিছনে প্রকারান্তরে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকারকে দায়ী করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী৷ পেঁয়াজ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের টানাটানির গেরোয় এবার সেঞ্চুরি ছুঁল পেঁয়াজের দাম৷ ডবল

imagesmissing

সেঞ্চুরি হাঁকাল পেঁয়াজ, ডবল সেঞ্চুরি মাংসে, মহার্ঘ ডিম! এবার খাবেন কী?

কলকাতা: লাগামছাড়া বাজারদর নিয়ন্ত্রণে গত ১৪ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের পর সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন সাত দিনের মধ্যে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে৷ কিন্তু, পেঁয়াজ নিয়ে কেন্দ্রের গড়িমসির কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে৷ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পিছনে প্রকারান্তরে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকারকে দায়ী করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী৷ পেঁয়াজ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের টানাটানির গেরোয় এবার সেঞ্চুরি ছুঁল পেঁয়াজের দাম৷ ডবল সেঞ্চুরির মুরগির মাংসে৷ লাগামছাড়া ডিমও৷

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ১০০ টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ বিক্রি হতে শুরু করে দিয়েছেন বাংলার ব্যবসায়ীরা৷ ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দেওয়া দামের সৌজন্যে পকেটে টান পড়তে শুরু করেছে মধ্যবিত্তের৷ কেননা, পুজোর সময় থেকেই দেশজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম৷ ব্যতিক্রম ছিল না রাজ্য৷ কোনোক্রমে পেঁয়াজের দাম ৭০-৮০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করলেও এবার রাতারাতি মহার্ঘ পেঁয়াজ৷ শহরের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া৷ বিভিন্ন রাজ্য থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে কম থাকার অজুহাতে একধাক্কায় দাম চড়েছে ১০০টাকা৷ শহর কলকাতায় ১০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও দিল্লিতে ৯০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে৷ আজ মুম্বাইতে ১০০ টাকার কাছাকাছি চলে গিয়েছে পেঁয়াজের দাম৷

অন্যদিকে, ডবল সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে মুরগির মাংস৷ পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিমের দাম৷ সব্জির দামও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে৷ মাছও চড়া৷ মুরগির মাংসের দাম কিছুটা কম থাকলেও রাতারাতি বেড়েছে দাম৷ এই মুহূর্তে পোলট্রির মুরগির মাংসের দাম ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় দাঁড়িয়েছে৷ ডিমের দাম দাঁড়িয়ে ৬ টাকায়৷ এতদিন সাড়ে ৪টাকা থেকে ৫ টাকা ছিল৷রাজ্য সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের হরিণঘাটা র মাংস ১৪০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে খোলা বাজারে দামে এতটা ফারাক?

বাজার বিশেষজ্ঞরা অবশ্য একে হুজুগ বলছেন৷ কারন তাদের মতে, পুজোর পর থেকে শাকসবজির বাজারে যে আগুন লেগেছে তার আঁচ মাছ-মাংসের ওপরেও কিছুটা ইচ্ছেমতোই ছড়িয়ে দিতে চাইছেন খোলা বাজারের বিক্রেতারা৷ মাছের বাজারে ২৫০ টাকার নীচে কাটা পোনা মেলা ভার৷ আর একটু ভালো মানের রুই-কাতলা ৩০০-৩৫০ টাকা৷ পাবদা, পার্শে, ভেটকি তো নাগালের বাইরেই৷ সাধারণ লোটে, ভোলা সেখানেও হাত টানতে হচ্ছে ক্রেতাদের৷ এই পরিস্থিতিতে মৎসপ্রেমীরা বিকল্প হিসেবে মুরগির মাংস আর ডিমের ভরসায় বাজারে যাচ্ছিলেন, এবার সেখানেও চড়া দরের চোখরাঙানি৷

শীতের বাজার আলো করা উচ্ছে-বেগুন-পটল-মূলো ৬০ থেকে ১০০ মধ্যেই ধরে রেখেছেন খোলা বাজারের বিক্রেতারা৷ তবে পেঁয়াজ আর টমেটোর দামে লাগাম দিতে ব্যর্থ স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও৷ বাজারের দর কমাতে টাস্কফোর্স গঠন, পুলিশের এনফোর্সমেন্টের আধিকারিকদের হানাদারি কিছুটা কার্যকরী হলেও সার্বিকভাবে তার সুফল থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *