নিজ্জর ডোবালো, কানাডার মেরুদন্ড ভেঙে দিল ভারত! রিস্কে ট্রুডোর দেশ | India-Canada Relations

আরো ভয়ংকর? (India Canada Relations) দিল্লি: খলিস্তানি জঙ্গি নিজ্জর খুনে জড়িত ভারতীয় হাইকমিশনার? ভারত কানাডা তোলপাড়! ভারতীয় হাই কমিশনারকে ফেরানো কানাডা থেকে।চুপ করে বসে থাকবে…

India Canada Relations

আরো ভয়ংকর? (India Canada Relations)

দিল্লি: খলিস্তানি জঙ্গি নিজ্জর খুনে জড়িত ভারতীয় হাইকমিশনার? ভারত কানাডা তোলপাড়! ভারতীয় হাই কমিশনারকে ফেরানো কানাডা থেকে।চুপ করে বসে থাকবে নাকি নয়া দিল্লি? রীতিমতো কানাডার মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিল ভারত, নেক্সট স্টেপটা আরো ভয়ংকর?

কানাডার উপর ভারতের অ্যাকশন কিন্তু এবার ভারী পড়তে যাচ্ছে।খলিস্তানী সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জরকে খুনের ঘটনায় নয়া দিল্লি ওটায়া দ্বীপাক্ষিক সম্পর্ক ফের ঠান্ডা করে যেতে বসেছে। অনেক বড় ভুল করে ফেললো কানাডা। ডিরেক্ট ভারতের দিকে আঙুল তুলে দিল।ট্রুডোর দেশ কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে সেটা কিন্তু সাংঘাতিক। কানাডা সরকারের তদন্তকারী সংস্থা নিজ্জর খুনে ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মাকে ‘স্বার্থ সম্পর্কিত ব্যক্তি’ বলে জানিয়েছে। তবে ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি সিস্টেম থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি। কিন্তু প্রশ্ন হল কিসের ভিত্তিতে এত বড় অভিযোগ?

India Canada Relations

বারবার অনুরোধ করার পরেও কানাডা সরকার কিন্তু নিজ্জর খুনে ভারতের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ পেশ করেনি। সে ক্ষেত্রে হাওয়ায় ঢিল ছোড়ার জন্য কানাডাকে অনেক বড় মাশুল গুণতে হতে পারে, এমনটাই কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আর সেটাই হয়তো এবার সত্যি হতে বসেছে।

বারবাড়ন্ত শুরু (History)

খলিস্তানি নেতা নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করে ভারত। তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় একটি গুরুদ্বারের সামনে তাঁকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় কানাডা। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে প্রমাণ? না, ঠিক এই পয়েন্টেই কানাডা জাস্ট শূণ্য। তাই ভারতের বিরুদ্ধে চক্রান্ত সাজিয়েও গতবছর পাকিস্তানি জঙ্গি নির্জন খুনের ঘটনায় ক্রয় সরকার বিশেষভাবে সাকসেসফুল হতে পারেনি। প্রথম দিকে আমেরিকা কে পাশে পেলেও পরে আমেরিকার পাশাপাশি কানাডাকেও ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায়। মনে করা হচ্ছিল ভারত কানাডা দু দেশের সম্পর্কের পালস নর্ম্যাল হচ্ছিল।

History

কিন্তু, বছর ঘুরতেই ফের কানাডার বারবাড়ন্ত শুরু। যদিও খালিস্থানি জঙ্গি নিজ্জর খুনে ভারতীয় হাই কমিশনারের জড়িত থাকার প্রেক্ষিতে স্পষ্ট জবাব দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বলেছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরকারের এই পদক্ষেপ ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অযৌক্তিক’। না শুধু এটুকুই নয়, রাজনৈতিক লাভের জন্য ভারতকে অপমান করার এটা একটা ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার বলেও উল্লেখ করেছে সাউথ ব্লক। কিন্তু এই অপপ্রচারের পেছনে আসলে কি কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে?

পুরোদস্তুর সংঘাতে (Trudeau Politics)

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কানাডার আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে কট্টরপন্থী খলিস্তানি গোষ্ঠীগুলোর সমর্থন পাওয়ার জন্য ট্রুডো সরকার নতুন করে নিজ্জর বিতর্ক সামনে নিয়ে আসছে। মোদ্দা কথা নিজের আখের বোঝাতে ভারতকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা? বড় ভুল করছে কানাডা। ফের মোদি স্ট্রাটেজিতে কূটনৈতিক গেম খেলা স্টার্ট করে দিল ভারত।

Trudeau Politics

অলরেডি প্রত্যাহার করা হয়েছে কানাডার নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মাকে। কানাডা সরকারের নিশানায় রয়েছেন, এমন কূটনীতিকদেরকেও ফেরত আনা হচ্ছে বলে খবর। তবে, না ভারতীয় হাই কমিশনারকে ফেরানোই শেষ নয়। এবার কানাডা সরকারের অভিযোগের জবাবে ভারতে নিযুক্ত সে দেশের ছ’জন কূটনীতিকে বহিষ্কার করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সেই তালিকায় রয়েছেন ভারতে কানডার কার্যনির্বাহী হাই কমিশনারও! এর ফলে কানাডার মাটিতে খলিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে হত্যার অভিযোগ ঘিরে নয়াদিল্লি-অটোয়া কূটনৈতিক টানাপড়েন পৌঁছে গেল পুরোদস্তুর সংঘাতে! যে সংঘাত থেকে দুটো দেশের সম্পর্ককে স্বাভাবিক করা খুব একটা সহজ হবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সব থেকে বড় কথা ট্রুডোর দেশ এগুলো কার জন্য করছে? ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় থাকা হার্দিক সিং নিজ্জরের জন্য। যার পরিচয় একটাই। খালিস্তানী জঙ্গি। যার বিরুদ্ধে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী দলের খাতায় গুচ্ছেক মামলা ছিল। অতএব এটাতো পরিষ্কার, একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপ একাধিক খুনের সঙ্গে জড়িত নিজ্জর সত্যিই ডোবালো কানাডাকে।

বড় ফ্যাক্টর (Big Factor)

এর আগেও নিজ্জর খুনের ঘটনা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা করেছিলেন ট্রুডো। কিন্তু তারপর ভারতের কূটনৈতিক ঝড়ো ব্যাটিং এর কাছে ক্লিন বোল্ড হয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে কথা বলতে পার্সোনাল আলোচনায় বসতে চেয়েছিল কানাডা। বলেছিল জট কাটাতে ভারতের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আলোচনার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। কিন্তু আবারো সেই একই ভুল। তাই এবার গোটা বিষয়টাকে ঠিক কোন চোখে দেখছে নয়া দিল্লি সেটা একটা বড় ফ্যাক্টর।

Big Factor

আমেরিকা কিন্তু আগেরবারই জানিয়ে দিয়েছিল ভারতের সঙ্গে বোঝাপড়া অটুট থাকবে। অনুমানের উপর ভিত্তি করে আর কিছু বলতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র সেটাও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছিল। অতএব যুক্তরাষ্ট্র যদি কানাডার পাশে না থাকে সেক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়া কানাডার জন্য কতটা ভালো পরিণতি ডেকে আনবে? বা কানাডার বিপাকে পড়া এখনও কতটা বাকি? কিংবা আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের ভাবমূর্তিতে যে কালিছেটানো হচ্ছে সেই জবাব কানাডাকে কিভাবে দেবে ভারত সেগুলোর দিকে নজর রাখাটা জরুরি।

আরও পড়ুন..

World : India Canada Relations : Explore the strengthening ties between India and Canada, from trade and investment to education and defense cooperation. Discover the opportunities and challenges shaping their bilateral relationship.