গ্রিন কার্ডের দাবি! আমেরিকার নাগরিক হতে চান গোতাবায়া রাজাপক্ষে?

গ্রিন কার্ডের দাবি! আমেরিকার নাগরিক হতে চান গোতাবায়া রাজাপক্ষে?

05b9034beeb192b14b0d469f89701029

কলম্বো: জনরোষ এড়াতে গতমাসেই পদত্যাগ না করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে।  সেই সময় গোটা দ্বীপরাষ্ট্র জুড়ে জ্বলছিল বিদ্রোহের আগুন। এমতাবস্থায় দেশকে কার্যত অথৈ জলে ফেলে রাতের অন্ধকারে মালদ্বীপে গিয়ে গা ঢাকা দেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। যদিও বর্তমানে তিনি ব্যাংককে স্বপরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন বলে খবর। চলতি সপ্তাহে খবর মেলে আগামী সপ্তাহে ২৫শে আগস্টই নাকি দেশে ফিরছেন গোতাবায়া। কিন্তু এর মধ্যেই জানা যাচ্ছে সম্প্রতি গোতাবায়া এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা মার্কিন মুলকের গ্রীন কার্ডের আবেদন জানিয়েছেন। দেশে ফেরার পর আমেরিকাতেই পাকাপাকি বসবাস করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গোতাবায়ার আইনজীবী মার্কিন মুলকের গ্রীন কার্ডের আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এই সমস্ত তথ্য প্রকাশ করেছে আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যম। যদিও এই প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত কলম্বোর তরফ থেকে কোন মন্তব্যই করা হয়নি।

জানা যাচ্ছে, ৭৩ বছরের গোতাবায়া শ্রীলঙ্কার সেনা বিভাগ থেকে নির্ধারিত সময়ের আগেই অবসর নিয়ে আমেরিকার বাসিন্দা হয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে। কিন্তু ২০০৫ সালে তিনি ফের শ্রীলঙ্কায় ফেরেন। ২০১৯ ,সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে নিজের মার্কিন নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছিলেন প্রবীণ গোতাবায়া। এবার সেই নাগরিকত্বই ফিরে পেতে চাইছেন তিনি।

গত কয়েক মাস ধরে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি যখন ক্রমেই খারাপ হচ্ছিল তখন দেশের সাধারণ মানুষ প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সরব হন। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে যখন বিদ্রোহ চলছিল তখনই বেশ কিছুদিন আত্মগোপন থাকার পরে বিপর্যস্ত দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট। প্রথমে তিনি মালদ্বীপ যান এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুর। তবে বর্তমানে তিনি সপরিবারে ব্যাংককে রয়েছেন বলে খবর। তবে শোনা যাচ্ছে আগামী সপ্তাহেই নাকি শ্রীলঙ্কায় ফিরছেন তিনি। তিনি শ্রীলঙ্কায় ফিরলে তাঁকে একটি রাষ্ট্রীয় বাসভবন এবং নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার বর্তমান সরকার। তার মধ্যেই মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *