shah nadda
কলকাতা: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন৷ তাঁর আগে ঘুঁটি সাজাতে বড়দিনের গভীর রাতে কলকাতায় এসে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। মঙ্গলবার সকালে প্রথমে গুরুদ্বরা, তারপর কালীঘাটে পুজো দিয়েই শুরু হয় শাহ-নাড্ডার ব্ল প্রিন্ট তৈরির কাজ। বৈঠকের পর বাংলায় তৃণমূলকে জোরদার ফাইট দিতে ১০ জনের ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম গঠন করেন শাহ-নাড্ডা৷ লোকসভা ভোটে বাংলার বিজেপি নেতৃত্বের পাখির চোখ ৩৫ আসন।
১০ জনের এই ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিমে শাহ-নাড্ডার সঙ্গে থাকবেন ৫ কেন্দ্রীয় নেতাও। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ৪ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে এই নির্বাচনী টিম। ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিমে রয়েছেন সুনীল বনসল, অমিত মালব্য, মঙ্গল পাণ্ডে, আশা লাকড়া। রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাখা হয়েছে অমিতাভ চক্রবর্তী, দীপক বর্মন, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ও সতীশ ধন্ডকে।তবে এই টিমে নেই চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, জন বার্লা এবং সুভাষ সরকার। টিমের বাইরে রয়েছে ‘জাত গোখরো’ মিঠুন চক্রবর্তী, স্বপন দাশগুপ্ত, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী, মনোজ টিগ্গাকেও। বৈঠকে ডাকা হয়নি সম্প্রতি রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলে সাম্প্রতিক কালে বিবাদে জড়ানো অনুপম হাজরাকে৷ এই ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিমের দায়িত্ব হবে লোকসভা ভোটের রণকৌশকে বাস্তবায়িত করা৷
এছাড়াও কী ভাবে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে হবে, কোন কোন বিষয়গুলিকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসতে হবে, কাদের প্রার্থী করতে হবে, কোন কোন আসনে নতুন মুখ আনা হবে, কোন কোন কেন্দ্রগুলিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে-এই সমস্ত বিষয়েই মঙ্গলবার ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিমের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সেরে ফেলবেন শাহ-নাড্ডা৷ গত লোকসভা ভোটে ১৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি৷ তার মধ্যে দু’জন বিধায়ক দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন৷ ফলে এই ১৬ জনের মধ্যে কাদের ফের টিকিট দেওয়া হবে, তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে৷
এদিন সকালে প্রথমেই জোড়াসাঁকোর বড়া শিখ সঙ্গত গুরুদ্বারে যান অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডা। সেখান থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে খানিক জনসংযোগ সেরে নেন তাঁরা। এরপর যান কালীঘাটে। কালীঘাট থেকে নিউটাউনের হোটেলে ফিরে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শাহ, নাড্ডা। এর পর ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আরও একটি বৈঠক সেরে আজই দিল্লি ফেরার বিমান ধরবেন কেন্দ্রীয় বিজেপির দুই নেতা।