congress
নিজস্ব প্রতিনিধি: গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের পর এবার ফের কি রাজ্যে বাইনারি দেখা যাবে? অর্থাৎ মূল লড়াই ফের দুটি দলের মধ্যে হবে কিনা তা নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে। এর আগে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে অধিকাংশ আসনে সরাসরি লড়াই হয়েছে। সেখানে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল বাম এবং কংগ্রেস। এবার কি পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে? চব্বিশের নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস নতুন করে মেলে ধরবে নিজেদের? ফিরে আসবে হারানো ভোট? নাকি আগের মতোই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সরাসরি লড়াই হবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে রাজনৈতিক মহল।
ঘটনা হল বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোট শুরু থেকেই ছন্নছাড়া অবস্থায় রয়েছে। অধিকাংশ রাজ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে সেভাবে আলোচনাই শুরু হয়নি। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে আসন সমঝোতা হবে কিনা সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সিপিএম আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা কোনও ভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে জোট করবে না। এই পরিস্থিতিতে বাম-কংগ্রেসের জোট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যদি সেটাই হয় তাহলে তৃণমূল ও বিজেপির সঙ্গে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী থাকবে। কিন্তু সেই প্রার্থী কি শুধু নাম কা ওয়াস্তে থাকবেন, নাকি প্রবল ভাবে তাঁর উপস্থিতি টের পাওয়া যাবে? কারণ লড়াইটা যদি বাইনারি অর্থাৎ তৃণমূল-বিজেপির মধ্যেই মূলত হয়, তাহলে তৃতীয় পক্ষের থাকা বা না থাকাটা সমান হয়ে দাঁড়াবে। যথারীতি সেদিকে সতর্ক নজর রাখছে তৃণমূল।
আসলে নির্বাচনী অঙ্ক মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তৃণমূল। সব সময় চলছে চুলচেরা হিসেব। তৃণমূলের একটাই আশঙ্কা, আগের মতোই সিপিএম ও কংগ্রেসের হিন্দু ভোটের সিংহ ভাগটা বিজেপির দিকে চলে যাবে না তো? তাতে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি আবার হতে পারে পশ্চিমবঙ্গে। আর সেটাই ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে। বলাবাহুল্য তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বাম-কংগ্রেসের কেউ লড়াইয়ের ময়দানে থেকে যদি ভোট কাটে, তবে তাতে নিশ্চিত ভাবে লাভ হবে তৃণমূলের। তাই লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বাইনারি মডেল কোনও ভাবেই চাইছে না তৃণমূল। তাই আগামী দিনে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন খাতে বইবে সেটাই দেখার।