নয়াদিল্লি: নতুন বছরে কেন্দ্রীয় রাজকোষে লক্ষ্মী সদয়৷ টানা দু'মাস এক লক্ষ কোটির অংকে পৌঁছল সংগৃহীত গুড অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স (জিএসটি)-এর পরিমাণ৷ কেন্দ্রীয় অর্থদপ্তরেরর হিসেব বলছে, রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১৯-এর ডিসেম্বরে সংগৃহীত জিএসটি-র পরিমাণ ১,০৩,১৮৪কোটি৷ ২০১৮-র ডিসেম্বরে সংগৃহীত জিএসটি-র (৯৭,২৭৬ কোটি) তুলনায় যা ৯ শতাংশ বেশি৷ ২০১৯-এর নভেম্বরেও সংগৃহীত জিএসটি-র পরিমাণ ১,০৩,৪৯২ কোটিতে পৌঁছেছিল৷
নতুন বছরের প্রথম দিনই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০১৯-এর ডিসেম্বর মাসে দেশের আভ্যন্তরীণ লেনদেন থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ অত্যন্ত কার্যকরীভাবে ১৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ওই একই সয়য়ের অনুপাতে আইজিএসটি অর্থাৎ আমদানির ক্ষেত্রে সংগৃহীত রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ শতাংশ৷ এর মধ্যে কেন্দ্রীয় জিএসটি (সিজিএসটি) থেকে মোট ১৯,৯৬২ কোটি এবং রাজ্য জিএসটি (এসজিএসটি) থেকে মোট ২৬,৭৯২ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে৷
সম্মিলিত জিএসটি (আইজিএসটি) থেকে ৪৮,০৯৯ কোটি এবং উপকর (সেস) থেকে ৮,৩৩১ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছে৷ আমদানি থেকে প্রাপ্ত সম্মিলিত জিএসটিতে ২১,২০৫ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছে ৷ একইভাবে, শুল্ক পুনরুদ্ধারে, আমদানিকৃত পণ্যের উপকর (সেস) থেকে ৮৪৭ কোটি টাকা সংগৃহীত হয়েছে৷
কর্পোরেট ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক রাজস্ব ছাড় দিয়ে, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাজস্ব মকুব করে৷ অপেক্ষাকৃত ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে করফাঁকি রুখতে ‘ইনভয়েস ম্যাচিং’পদ্ধতি এনে৷ এমনই একাধিক কৌশলে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ বাড়লেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার মোট দেশীয় উৎপাদনের (জিডিপি) হারে ৩.৩ শতাংশ রাজস্ব ঘাটতি রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে৷ অর্থাৎ, খাদ্যদ্রব্য থেকে জ্বালানি, আম আদমির নিত্য প্রয়োজনীয় একাধিক পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জোয়ারে নতুন বছরে রাজকোষের দৈন্যতা কিছুটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভাব হলেও, এরজন্য রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে বর্ধিত হারে কর দিতে গিয়ে আম আদমির ভাঁড়ারে যে টান পড়ছে তার সমাধান সূত্র সম্ভবত এখনও অধরা৷