কলকাতা: জমি সমস্যা মিটে যাওয়ায় লুধিয়ানা থেকে ডানকুনি ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর নিয়ে জটিলতা এবার কাটতে চলেছে।নবান্ন সূত্রে খবর, ফ্রেট করিডর তৈরির জন্য পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে দুশ কিলোমিটারের বেশি রেলপথ তৈরি করা হবে । এজন্য হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় জমি অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতদিন জমি অধিগ্রহণে সমস্যার জন্য ওই প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর জমি চিহ্নিত করেছে বলে জানা গিয়েছে । ঠিক হয়েছে চার গুণ দাম দিয়ে জমির মালিক দের থেকে জমি কেনা হবে। জমি অধিগ্রহণ করে রেলের হাতে তুলে দেবে। রেল জমি কিনে নেবে। , আগামী মার্চের মধ্যেই অধিগ্রহণ ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
শুধুমাত্র পণ্য পরিবহনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ১৮৩৯ কিমি দীর্ঘ এই ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরীর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রস্তাবিত এই করিডর উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে যাবে।এটি তৈরি হলে আগামী দিনে রেলপথে পণ্য পরিবহনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে। উত্তর ভারতের লুধিয়ানা থেকে মুঘলসরাই পর্যন্ত ১,১৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডর হবে। মুঘরসরই থেকে বিহারের শোননগর (১২৬ কিলোমিটার) হয়ে ডানকুনি পর্যন্ত এই করিডর তৈরি হওয়ার কথা। করিডরের ৫৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ শোননগর এবং ডানকুনি রুটের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক দিন ধরেই নানা জল্পনা চলছিল।
রেলের যা সিদ্ধান্ত তাতে এই করিডর পণ্য–চলাচলে দেশের ‘লাইফলাইন’ হিসেবে গড়ে উঠবে। একই সঙ্গে, এই করিডর দিয়ে কেবল পণ্য পরিবহণই করা হবে। ফলে, পণ্য পরিবহণ আগের থেকে তাড়াতাড়ি হবে, যাত্রীবাহী রেল–চলাচলও দ্রুততর হবে। স্বস্তি পাবেন রেলযাত্রীরা। নবান্ন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে এই প্রকল্পের জন্যে জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাহায্য নিয়েছে ভারতীয় রেল। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ৭০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করেছে এবং ইডিএফসির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় ৬০ শতাংশ জমি হস্তান্তরিতও করেছে। এনিয়ে গত অগস্ট মাসেই রেলমন্ত্রী পীযূশ গয়ালকে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে এই প্রকল্প দ্রুত রূপানের দাবি জানিয়ে রেলমন্ত্রীকে এক চিঠিও লেখেন মমতা।