হিজবুল্লাহর গেরিলা বাহিনী (Hezbollah Terror Tunnels Into Israel)
দিল্লি: হিজবুল্লাহর গেরিলা বাহিনী, এদের শরীরে কী আলাদা শক্তি? সাঙ্ঘাতিক পাওয়ার, বাড়িতে থাকেনা। মাটির নীচে কোন গভীরে এদের আস্তানা? এই যোদ্ধাদের হাতে একবার পড়ে গেলে ইসরাইলি বাহিনী শেষ হয়ে যেতে পারে চোখের নিমেষে? কত বড় রিস্ক নিলেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু? যেমন তেমন নয়, হিজবুল্লাহ গেরিলাদের অস্ত্র ভান্ডারের পরতে পরতে রহস্য!
পাথুরে জমির নীচে সুড়ঙ্গ (Tunnel Network Exposed)
নাসারাল্লাহ, হিজবুল্লাহর লিডার। তাকে প্রাণে মেরে ফেলল নেতানিয়াহুর সেনা? যেচে পড়ে নিজেদের রিস্ক বাড়াল ইসরাইল। জানেন কী, হিজবুল্লার প্রাণভোমরা ঠিক কোথায় লুকানো? আমেরিকা ও ইউরোপের সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবিটা কিন্তু সাংঘাতিক। দক্ষিণ লেবাননের গ্রামীণ এলাকায় পাথুরে জমির নীচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সেনাঘাঁটি তৈরি করেছে শিয়াপন্থী হিজবুল্লা। সেখানেই লুকিয়ে রয়েছে তাঁদের গেরিলা বাহিনী। যাদের ক্ষমতা জাহির করার দরকার পড়ে না। সময় এলে জবাব দিতে এরা পিছপা হয় না।
দুনিয়ার সবচেয়ে ভারী অস্ত্রশস্ত্র (Hezbollah Weapons)
তাই ইসরাইলের বিরুদ্ধে সুড়ঙ্গ থেকে পিল পিল করে এই গেরিলা বাহিনী বেরিয়ে এলে পরিণতি কি ঘটতে পারে সেটা ভেবেই চমকে যাচ্ছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সাপোর্ট করা পশ্চিমা বিশ্ব। গুলির লড়াই, বম্ব ব্লাস্ট, একসাথে হাজার হাজার ডিভাইসে পেজার বিস্ফোরণ। হিজবুল্লাহকে একের পর এক টার্গেট করে ফুল ফর্মে যুদ্ধ বাধানোর চেষ্টায় ছিলই ইসরাইল। আর, ইসরাইলি বিমান হামলায় হিজবুল্লা লিডার হাসান নাসারাল্লাহর মৃত্যুর খবর কফিনের শেষ পেরেকটা যেন পুঁতে দিল।
সিচুয়েশন দেখে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, প্রতিবেশী দেশটাতে ছড়িয়ে থাকা ইরান সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লার কোমর ভাঙার পণ করেছে ইহুদি সেনা। যা মোটেই সহজ হবে না কিন্তু। এটা তো ফ্যাক্ট হিজবুল্লাহদের আঁটঘাটই আলাদা। এমনিতেই গোটা বিশ্ব জানে, দুনিয়ার সবচেয়ে ভারী অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে এই বিশাল বাহিনীর কাছে। যার অধিকাংশই ট্রেইন্ড, দক্ষ। রয়েছে প্রায় ২ লক্ষ রকেট এবং মিসাইল। গাজার হামাস ও এদের কাছে ফেইল।
তারপর আবার গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গোপনে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে মাটির নীচে মাইলের পর মাইল সুড়ঙ্গ তৈরি করেছে ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠী। সেখানেই মজুত রয়েছে মারাত্মক সব ক্ষেপণাস্ত্র। যার অধিকাংশই ইরান থেকে চোরাপথে পৌঁছেছে হিজবুল্লার ডেরায়।হিজবুল্লার এই সুড়ঙ্গগুলো এতটাই চওড়া যে এর ভিতরে অনায়াসেই চলাফেরা করতে পারে রকেট লঞ্চার দিয়ে সাজানো ফৌজি ট্রাক বা সাঁজোয়া গাড়ি। সুড়ঙ্গের মধ্যে বসেই চালানো যায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। গোয়েন্দারা তাই হিজবুল্লার গুপ্ত ঘাঁটিগুলিকে মাটির নীচের ‘ক্ষেপণাস্ত্রের শহর’ বলছেন।
জানিয়ে রাখি, এই সুড়ঙ্গগুলোই গেরিলা যুদ্ধের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে তাঁরা সিদ্ধহস্ত। অর্থাৎ, এর থেকে বেরিয়ে শত্রুর উপর হামলা চালিয়ে চোখের নিমেষে আবার সুড়ঙ্গে ঢুকে গায়েব হয়ে যেতে পারে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। কী? এটুকুতেই ছিটকে গেলেন? এখনও ইনফ্রাস্ট্রাকচার জানা বাকি। হিজবুল্লার এই মাটির নীচের ক্ষেপণাস্ত্র শহরের তিনটি অংশ। বাঙ্কার, ক্ষেপণাস্ত্রের গুদাম ও কমান্ড সেন্টার। ভূপৃষ্ঠের গভীরে যা জালের মতো বিস্তৃত। সুড়ঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো আবার বিভিন্ন ভাবে একটার সাথে একটা কানেক্টেড। ফলে জঙ্গিদের কাছে অনায়াসেই নির্দেশ পাঠাতে পারেন হিজবুল্লার নেতারা।
আরও ভয়াবহ রূপ (International Response)
সাধে কী ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হিজবুল্লাকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী জঙ্গিগোষ্ঠী বলে মনে করা হয়? অনেকে তো এটাও বলছেন, নিজেদের লিডার নাসারাললাহর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য লেবাননের হিজবুল্লা গোষ্ঠী এবার যা যা করবে তাতে ইসরাইলের রাতের ঘুম উড়ে যেতে পারে। আর এই আবহে ইজ়রায়েলের স্থলবাহিনী লেবাননে ঢুকে হামলা চালানোর সাহস দেখালে তো ব্যাস। যুদ্ধ যে আরও ভয়াবহ রূপ নেবে তা বলে বোঝানোর দরকার পড়ে না।
আরও পড়ুন..
এবার শুকিয়ে কাঠ হবে পাকিস্তান?
দেউলিয়া বাংলাদেশ? ইউনূসকে ভরসা করাই ভুল!
World : Hezbollah Terror Tunnels Into Israel – Discover the hidden threat of Hezbollah’s terror tunnels into Israel. Learn about the 10 tunnels uncovered and the implications for regional security. Get the latest updates.