Aajbikel

অযোধ্যা বিতর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি জানেন কী?

নয়াদিল্লি: প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের সংসদীয় বেঞ্চ রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ জমি বিবাদ মামলার রায় দেবে৷ মনে রাখা প্রয়োজন এই মামলার দুই প্রধান পক্ষ-হিন্দু এবং মুসলমান পক্ষ, তার সঙ্গে রামলালা, নির্মোহি আখাড়া এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির তিন ভাগের বিরুদ্ধে পালটা মামলা করে৷ আজ শনিবার, ৯ নভেম্বর
 | 
অযোধ্যা বিতর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি জানেন কী?

নয়াদিল্লি: প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের সংসদীয় বেঞ্চ রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ জমি বিবাদ মামলার রায় দেবে৷ মনে রাখা প্রয়োজন এই মামলার দুই প্রধান পক্ষ-হিন্দু এবং মুসলমান পক্ষ, তার সঙ্গে রামলালা, নির্মোহি আখাড়া এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির তিন ভাগের বিরুদ্ধে পালটা মামলা করে৷ আজ শনিবার, ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দেবেন, তা সেই মামলার রায় হবে৷

এই মামলা ৪০ দিন ধরে শোনা হয়েছে৷ তবে পাঁচ বিচারপতি এক মাসেরও কম সময়ে রায় দিতে পারবেন৷ বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ১৭ নভেম্বর অবসর নেবেন৷ স্বাভাবিকভাবেই এই রায় তাঁর জীবনে অন্যতম ল্যান্ডমার্ক জাজমেন্ট হয়ে থাকবে৷ সংসদীয় বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বিচারপতি এস এ বোবোদে, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ, এবং এস আবদুল নাজির রয়েছেন৷ মনে রাখা প্রয়োজন এই রায়, ক্রস-অ্যাপিল বা পালটা মামলার রায় দেওয়া হচ্ছে৷ মূল অযোধ্যা মামলাটি বহু বছর ধরে চলে এসেছে৷ ২০১০ সালে যে রায় দেওয়া হয় তার পালটা মামলার রায় এটি৷ অযোধ্যা মামলাটি বহু বছর ধরে চলছে – সম্ভবত সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে সব থেকে বেশিদিন চলা মামলার মধ্যে এটি দ্বিতীয়৷ প্রথমটি অবশ্যই, কেশবানন্দ ভারতী মামলা৷

২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় ছিল – বিতর্কিত জমিটি ৩ ভাগে ভাগ করে দেওয়া হোক৷ দুই তৃতীয়াং হিন্দু বাদী-পক্ষকে (ভগবান শ্রী রাম বা রামলালা এবং নির্মোহী আখাড়া) দেওয়া হোক৷ এক-তৃতীয়াংশ দেওয়া হোক সুন্নি-মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডকে৷ এলাহাবাদ হাইকোর্টের সেই বিষেষ বেঞ্চে ছিলেন – বিচারপতি এস ইউ খান, বিচারপতি সুধীর আগরওয়াল এবং বিচারপতি ডি ভি শর্মা৷

মনে রাখা প্রয়োজন, কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৯২ সালের অযোধ্যা আইন অনুযায়ী ওই বিতর্কিত জমিটি নিয়ন্ত্রণ করে৷ হিন্দু বাদী-পক্ষের দাবি বাবরি মসজিদের সেন্ট্রেল ডোমের নিচেই ভগবান শ্রী রামের জন্ম হয়েছিল৷ ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙে দেয় কর-সেবকরা৷ স্কন্ধ পুরাণ অনুযায়ী ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের জন্মেস্থান হিন্দুদের পবিত্রস্থান৷ আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার চিত্র দেখিয়ে হিন্দু বাদী-পক্ষ প্রমাণ করার চেষ্টা করে বাবরি মসজিদের ভিতর রামজন্মভূমি ছিল৷ মুঘল সম্প্রাট বাবর তা ধ্বংস করেন৷

মুসলমানদের পক্ষে সিনিয়ার অ্যাডভোকেট রাজীব ধাবনের যুক্তি ছিল, মুসলমানদের ওই জমির উপর সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে৷ হিন্দদের রাম-চৌবুত্রেতে ঢুকে পুজো করার অধিকার রয়েছে – কিন্তু এর থেকে বেশি কিছু নেই৷ ১০৯২ সালের আগে বাবরি মসজিদ ঠিক যেরকম ছিল ঠিক সেই রকম ভাবে ফিরিয়ে দিতে হবে৷ সিনিয়ার অ্যাডভোকেট রাজীব বাদি করেন, ১৯৪৯ সালের ২২-২৩ ডিসেম্বর, সেই গবীর রাতেই হিন্দুরা রামলালার মুর্তি সরিয়ে নিয়ে যায়৷ ওই জমি যে ভগবান শ্রী রামের তার কোনও সরাসরি প্রমাণ নেই৷ তিনি প্রশ্ন করেন, ইতিহাসে হিন্দু রাজাদের রাজত্ব জয় করার কথাও রয়েছে৷ তাঁরাও দখল করেছেন৷ তাঁরা কীভাবে মুসলমান রাজাদের থেকে আলাদা হলেন৷

Around The Web

Trending News

You May like